মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর নিউটাউনশিপ থানা এলাকায়!
নিজস্ব প্রতিবেদন : মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর নিউটাউনশিপ থানা এলাকায়। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রবীর পাল এবং মনোজ মল্লিক। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, ‘‘দু’জনকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হবে।’’স্থানীয় সূত্রে খবর,রবিবার দুর্গাপুরের সগরভাঙার বাসিন্দা বছর ২৩শের মুখ ও বধির এক যুবতী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। রবিবার ঘটনাটি ঘটে নিউ টাউনশিপ থানার এবিএল এলাকায়। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে ওই যুবতী সগরভাঙ্গায় একটি কোয়ার্টারে পরিচারিকার কাজ করেন। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সে কাজে যায়। বিকেলে কাজ সেড়ে ফেরার পথে সগরভাঙ্গা এলাকারই দুই যুবক ওই যুবতীর পথ আটকায়। যুবতীকে জোর তারা আবাসন সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এদিকে সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যখন ওই যুবতী বাড়ি ফিরছে না দেখে তার পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। খুঁজতে খুঁজতে তারা যখন এবিএল জঙ্গলে পৌঁছোয় সেই সময় তারা দেখতে পান দুজন যুবক ওই যুবতীকে সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে ওই দুই যুবককে ধরতে গেলে এক যুবক পালিয়ে গেলেও অন্য এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলে যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পুলিশ যুবতীকে নিয়ে যায় দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে। সেখানে যুবতীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে যুবতীর। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সুরূপা ভট্টাচার্য জানান ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে ঘটনাটি আসলে কি ঘটেছে। এদিকে মুক ও বধির যুবতীর ধর্ষণের ঘটনায় লাগলো রাজনৈতিক রঙ। শহরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সিপিআইএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার সোমবার মহকুমা হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেন শহরে আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। পুলিশ উৎসব, খেলা আর মেলা নিয়ে ব্যস্ত। পুলিশের উপর শহরবাসীর ভরসা উঠে গেছে বলে মন্তব্য করেন পঙ্কজ বাবু। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার প্রাক্তন পুরপিতা দীপঙ্কর লাহা জানান খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনায় জড়িত দুই যুবককে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করেন দীপঙ্কর বাবু।