নৈহাটির বড়মার কাহিনী!

নিজস্ব সংবাদদাতা :  বাংলায় আরও এক বিখ্যাত ও জাগ্রত দেবী কালী হলেন নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই থেকেই চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাহিনি। শতবর্ষ পুরনো এই পুজো আগে এত জনপ্রিয় ছিল না। হঠাৎ কেন এত মানুষ এই দেবীর দর্শন করতে যায় জানেন? নেপথ্যে রয়েছে এক কাহিনি। ভবেশ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে যান।সেখানে বড় বড় কালী মূর্তি দেখে তিনি অবাক হন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন নৈহাটিতে একটি বিশাল রক্ষাকালী মূর্তি গড়ে তুলবেন।রাস্তার ধারে এই মূর্তি পুজো তিনি শুরু করেন। ভবেশ চক্রবর্তী এই মূর্তি স্থাপন করেছিলেন বলে এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়।প্রতি বছর লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্ত ছুটে আসেন একবার মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য। এই দেবী নাকি জাগ্রত, এমনই বিশ্বাস মানুষের।তবে বড়মার পুজো শুরু না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটিতে অন্য কোথাও পুজো শুরু হয় না। পাঁচ দিনব্যাপী এই পুজোর গুরুত্ব তাই নৈহাটিবাসীদের কাছে অপরিসীম। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন।এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। প্রায় ধরুন ১৪ হাত উঁচু একটি কালীমূর্তি। আজ এই পুজো ১০১ বছর পূর্ণ করতে চলেছে।স্থানীয়দের মতে, বড় মায়ের বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোনও কালীমূর্তিকে বিসর্জন করা যায় না। আয়োজন করা হয় আলোর কার্নিভালও।

0:00
/0:40