গণআন্দোলন শেষ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার পতন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশজোড়া বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করলেন। গণবিদ্রোহের দাবি মেনে নিলেন তিনি। টানা বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও তীব্র রাজনৈতিক চাপের পর ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

তবে এই আন্দোলন কেবলমাত্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশেই থেমে নেই; বরং এর সাথে যুক্ত তরুণ প্রজন্ম একগুচ্ছ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের দাবি সামনে এনেছে। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করেছেন, যেসব মানুষ এই বিক্ষোভ চলাকালে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সবাইকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

তাঁদের পরিবারকে সরকারি সম্মান, স্বীকৃতি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। মঙ্গলবার তীব্র সহিংস বিক্ষোভের পর বুধবার সকাল থেকেই সেনা সদস্যরা কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহরে নেমে পড়ে। তারা কারফিউ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে।

একইসাথে সংগঠকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বেকারত্ব মোকাবিলা, অভিবাসন হ্রাস এবং সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়ার। মূল দাবি সমূহ :
১. অবিলম্বে বর্তমান প্রতিনিধিসভা বিলুপ্ত করতে হবে, কারণ জনগণের আস্থা সেটি হারিয়েছে।
২. নাগরিক, বিশেষজ্ঞ ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা সম্পূর্ণ নতুনভাবে রচনা করতে হবে।
৩. অন্তর্বর্তীকালীন সময় শেষে স্বাধীন, সুষ্ঠু ও প্রত্যক্ষ জনঅংশগ্রহণের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
৪. সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নির্বাহী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৫. গত তিন দশকে রাজনীতিবিদদের লুট করা সম্পদের তদন্ত করতে হবে এবং অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত করা হবে।
৬. পাঁচটি মৌলিক প্রতিষ্ঠান— শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ খাতে কাঠামোগত সংস্কার ও পুনর্গঠন করতে হবে।