এবার যোগ্য ধ‍্যান এর মাধ্যমে আপনার শিশুর পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা মনস্তাত্বিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : এবার যোগাসনের মাধ্যমে আপনার শিশুর মনস্তাত্বিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে মেদিনীপুরে বিশেষ প্রশিক্ষন কেন্দ্র শুরু করলো দি আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন। মেদিনীপুর শহরের শরৎ পল্লীতে ইনস্টিটিউশন প্রসেসের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক দীপঙ্কর চক্রবর্তী জানান, মূলত আমরা আমাদের দেহের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করে থাকি। কিন্তু সাধারন জ্ঞানের থেকেও অনেক বেশী জ্ঞান অর্জন করা যায় আমাদের দেহের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করে। আমরা যদি আমাদের দেহের ষষ্ট ইন্দ্রিয়কে প্রঞ্জা যোগার মাধ্যমে সক্রিয় করে তুলতে পারি, তাহলে আমরা চোখ বন্ধ করেও সমস্ত কিছু বুঝতে ও করতে পারবো। যেমন চোখ বন্ধ করে পড়াশোনা, স্পর্শ করে রঙ চিহ্নিত করা ইত্যাদি। বর্তমান নতুন প্রজন্মের মোবাইলের দিকে বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে, শুধু তাই নয় ধৈর্য শক্তি অনেকেই হারিয়ে ফেলেছে, রাগ ও জেদ বেড়ে গিয়েছে, চিন্তা এবং অস্থিয়তা অনেক বেড়ে গেছে আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসার উপায় এই যোগ্যধ‍্যান এর মাধ্যমে।প্রসঙ্গত, বহু বছর আগে মুনি ঋষিরা ধ্যানের মাধ্যমে তাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করে তুলতো। সেই জ্ঞান তাঁরা দিয়ে গেছেন, কিন্তু সেই জ্ঞান আজ অবলুপ্তির পথে। আজকালের ডিজিটাল যুগে শিশুদের এই জ্ঞানেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মনে করেন সংস্থার কর্মকর্তার। তাই তাঁরা এই প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। শিবিরে উপস্থিত প্রশিক্ষণ প্রাক্তন ছাত্রী অভিশা ঘোষ জানায় ছাত্র-ছাত্রীরা এক ধরনের কাপড় চোখে ব্যবহার করে বাইরের কোন জিনিস দেখতে না পাওয়া যায়নি, চোখে কাছে কালো কুচকুচে অন্ধকার। সেই চোখ বন্ধ অবস্থায় সঠিক রং ব্যবহার করে অংকন থেকে শুরু করে কাগজের উপর কি লেখা আছে সেটাও সঠিক করে দিচ্ছে। যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে তুলেছে দি আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।