ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়ছেন না নওশাদ সিদ্দিকি !

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে ISF। তালিকায় রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে আইনজীবী মজনু লস্করের নাম শোনামাত্রই একেবারে নড়েচড়ে বসে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, এখানে নওশাদ সিদ্দিকির নাম প্রত্যাশিত ছিল অনেকেই। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ আইনজীবী মজনু লস্কর। ৪২ বছরের মজনু জিএসটি-আয়কর বিভাগ সংক্রান্ত আইনজীবী। তিনি বারুইপুরের বাসিন্দা। আইএসএফের আইনি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন মজনু লস্কর। এছাড়া সংগঠনের শুরু থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মজনু ভারত সরকারের যুব দপ্তরের ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইউথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত। এই প্রোফাইলের ব্যক্তিকেই ডায়মন্ড হারবারের লড়াইয়ে এগিয়ে দেওয়া হল। আরও উল্লেখ্য, যাদবপুর কেন্দ্রেও নওশাদের নাম নিয়ে জল্পনা উঠলেও তিনি সেখানকার লড়াইয়েও নেই। এই কেন্দ্রে আইএসএফের প্রার্থী নুর আলম খান। তিনি পেশায় আইনজীবী। 

ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ISF প্রার্থী মজনু লস্কর

কিন্তু কী কারণে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বাংলার একমাত্র জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও দুই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের একটিতেও লড়ছেন না নওশাদ? এই প্রশ্নের জবাবে ফুরফুরা শরিফের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি  জোট না হওয়ার ব্যর্থতার কথাই বললেন নওশাদ। সিপিএমের উপর কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন। পাশাপাশি জানালেন, তাঁর প্রার্থী না হওয়া দলের সিদ্ধান্ত। তবে সংসদে জনতার কথা বলার জন্য আইএসএফ প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন পুরোদমে। চাইবেন মানুষের আশীর্বাদ। তবে কি লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে দেখাই যাবে না নওশাদকে? তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, ৪২  আসনের মধ্যে মাত্র ১৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে আইএসএফের। বাকি আসনে এখনও নওশাদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে। লাখ লাখ ভোটের ব্যাবধানে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন একাধিকবার। কিন্তু শেষমেশ পিছু হঠলেন। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের লড়াই থেকে পিছু হঠেছেন নওশাদ সিদ্দিকি।