রেলের টিকিট চেকার চাকরি করা শুরু করে, অলিম্পিক্সে পদক!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ধোনি মতোই অলিম্পিকের আসর থেকে ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে এলেন শুটার স্বপ্নিল কুশালে। ২০১৫ সাল থেকে রেলে চাকরি করা শুরু করেন স্বপ্নিল কুশালে। ধোনির মতোই স্বপ্নিল টিকিট চেকার হিসেবে নিজের পেশাদার কেরিয়ার শুরু করেন। স্বপ্নিল কুশালের বাবা ও ভাই দু'জনেই শিক্ষক। তাঁর মা গ্রামের সরপঞ্চ। স্বপ্নিল যখন শুটিং শুরু করেন তখন তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে বুলেট কেনার টাকা ছিল না। কিন্তু তাঁর বাবা কষ্ট করে তাঁকে শুটিংয়ের জন্য তৈরি করেন।স্বপ্নিল কুশালে পুনের বাসিন্দা এবং কৃষক পরিবার থেকে এসেছেন। স্বপ্নিল ২০০৯ সালে শুটিং শুরু করেন। তাঁর বাবা তাঁকে প্রাথমিকস্তরে ক্রীড়া স্কুলে ভর্তি করে দেন। এবং এক বছর পরে, স্বপ্নিল শুটিংকে তাঁর পেশা হিসাবে বেছে নেন। স্বপ্নিল ২০১৫ এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর প্রথম পদক জিতেছিলেন। কুয়েতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন ৩ ইভেন্টে সোনা জেতেন তিনি। এরপরে, স্বপ্নিল গগন নারং এবং চেন সিংয়ের মতো তারকা শুটারদের পিছনে ফেলে ৫৯ তম জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। এছাড়া তিরুবনন্তপুরমে ৬১তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও ৫০ মিটার রাইফেল পজিশন ৩-এ সোনা জেতেন তিনি।


স্বপ্নিল কুশালে ২০২২ সালে কায়রোতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চতুর্থ হয়েছিলেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তিনি এবার অলিম্পিক্সে সুযোগ পান। অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ার পরেও স্বপ্নিল ২০২২ এশিয়ান গেমসের দলগত ইভেন্টে সোনা, ২০২৩ বিশ্বকাপে মিক্সড ইভেন্টে সোনা এবং ব্যক্তিগত ইভেন্টে ২টি রুপো জেতেন।
প্যারিস অলিম্পিকে তৃতীয় পদক জিতল ভারত। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে ব্রোঞ্জ জিতলেন স্বপ্নিল কুশালে। ৫০ মিটার রাইফেল প্রতিযোগিতায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে পদক জিতলেন স্বপ্নিল। এবারই অলিম্পিকে অভিষেক হল স্বপ্নিলের। আর প্রথমবারেই ইতিহাস গড়লেন তিনি।