ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর পলিসি তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার!
নিজস্ব প্রতিবেদন : ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর পলিসি তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেখানে একাধিক উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত শিল্প বিকাশের পথ। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পকে বিকশিত করা হবে। বড় বেসরকারি শিল্পোদ্যোগীদের বিনিয়োগে জোর দেওয়া হবে। ল্যান্ড ইউজ ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল প্ল্যান তৈরি করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগম জমি অধিগ্রহণ করা, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করা, জমি বিক্রি করা, জমি ইজারা হিসাবে দেওয়া, জমিকে শিল্পের উপযোগী হিসাবে রূপান্তরিত করার উপর জোর দেবে। সেই সঙ্গেই বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করার জন্য, তাদের সহায়তার জন্য ইনভেস্টমেন্ট ডেস্ক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সম্প্রতি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে যেমন জারার মতো বড় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়, তেমনি দেশীয় শিল্পোদ্যোগী যারা বিদেশের মাটিতে ব্যবসা করছেন তাদেরকে বাংলায় বিনিয়োগ করার ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী আহ্বান জানান। তবে শেষ পর্যন্ত তারা কতটা উৎসাহী হবেন, বা বাস্তবে কতটা বিনিয়োগ আসবে তা এখনও সেভাবে জানা যাচ্ছে না। এদিকে বিরোধীরা এনিয়ে বার বার চেপে ধরছে। সেই নিরিখে এবার রাজ্যের শিল্পভাবনাকে আরও বাস্তবসম্মত করার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর পলিসি তৈরির উদ্যোগ। তবে বিরোধীদের দাবি, স্পেন সফর শুধুই ভ্রমণের জন্য ছিল। বিনিয়োগ কিছু এল কী না সেটা রাজ্য সরকার জানাক। বলা হচ্ছে দুটি পর্যায়ে এই শিল্প করিডর তৈরি করা হবে। ফেজ ওয়ানে রয়েছে রঘুনাথপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত ৩৯৮ কিমি এলাকা। ডানকুনি থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত এলাকা প্রায় ১৬০ কিমি। ডানকুনি থেকে কল্যাণী পর্যন্ত প্রায় ৪৩ কিমি এলাকা। আর পানাগড় থেকে কোচবিহার পর্যন্ত ৬৩৯ কিমি এলাকা।ফেজ ২ তে থাকছে গুরুডি থেকে জোকা পর্যন্ত ২৩৪ কিমি এলাকা। অন্যদিকে খড়্গপুর থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত ২৩০ কিমি এলাকা। এই দুটি পর্যায়ে শিল্পের বিকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই করিডর বরাবর শিল্প বিকাশের চেষ্টা করা হবে। এক্স হ্যান্ডেলে তথ্য় দিয়েছে নক্ষত্র। তবে সিঙ্গুরে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর এখন নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার।
কেন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা?
এনিয়ে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এখানে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ভালো। একাধিক আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। একাধিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি বাংলায় বিনিয়োগ করেছে। লোহা, চা, পাট, ধাতব শিল্প, বস্ত্র, আকরিক, কেমিক্যাল. রাবার, অলঙ্কার, আইটি, ফার্মা, পেট্রোলিয়াম জাত সামগ্রীর কারখানা এখানে গড়ে উঠেছে।