পিএনডিপে অ্যাপ ডাউনলোড করে টাকা উধাও !

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : ডিজিটাল পরিমণ্ডলে সতর্ক থাকার পরেও বিভিন্ন ক্ষতির শিকার হয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। ডিজিটাল অনলাইনে প্রতারণার শিকার ঘটলো তাও আবার জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে। যার জেরে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে থানায় অভিযোগ করলেন সি এস পি (Customer service point)ও সি এস সি র (Common Service centre ) মালিকরা। ঘটনা ক্রমে জানা যায়, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, চাষীদের টাকা, বার্ধক্য ভাতার টাকা গ্রামের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ছোট ছোট সি এস পি ,ও সি এস সি র ব্রাঞ্চ খুলেছিল শিক্ষিত বেকার যুবকরা। এখান থেকে বিভিন্ন মানুষের মোবাইল, টিভি ইত্যাদি রিচার্জও করতো CSP, CSC এর মালিকরা। এই সিএসপি এবং সিএসসির ব্রাঞ্চ গুলো বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংক এবং আধা সরকারি ব্যাংকের হয়ে থাকে।মূলত গ্রামের বেকার শিক্ষিত যুবকরা চাকরি বাকরি না পেয়ে ঘরের জমি বন্ধক দিয়ে সেই ছোট ছোট অফিস খুলে তারা গ্রামের মানুষকে অতি সহজেই অনলাইনের টাকা নগদে পাইয়ে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু যুবক তাদের কাছে আসে এবং জানায় তারা নতুন অ্যাপস নিয়ে এসেছে যার নাম PND Pay। এই অ্যাপসের মাধ্যমে তারা টাকা ট্রানজাকশন করলে একদিকে যেমন বেশি মুনাফা পাবে তেমনি অন্যদিকে অতি সহজেই লক্ষ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করতে পারবে। সহজ সুবিধা এবং বেশি মুনাফার আশায় এই যুবকরা সেই সময় এই অ্যাপস ডাউনলোড করে তাদের মোবাইল এবং কম্পিউটারে। মাস খানেক বেশ চলছিল কিন্তু গত ২৮ তারিখ থেকে সমস্যা সৃষ্টি হয়।এই CSP র যুবকদের অভিযোগ, তারা ২৮ তারিখ সকালে উঠে দেখে তাদের মোবাইল এবং ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে অ্যাপসটি উধাও হয়ে গিয়েছে। এরই সঙ্গে তাদেরকে যোগাযোগের মাধ্যম এবং যারা এই অ্যাপসের দায়িত্ব ছিলেন তাদের ফোন সুইচ অফ। একাধিকবার ফোন করে যখন তারা নিজের টাকা ওয়ালেট থেকে তুলতে পারছিলেন না সেই সময় তারা ভেঙে পড়েন। অবশেষে তারা দ্বারস্থ হন মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইমে। মেদিনীপুর শহরের প্রায় ১০-১৫ জন CSP, CSC এবং অনলাইন ট্রানজেকশন মালিক তারা দ্বারস্থ হন থানায়। প্রত্যেকেই ৫০ হাজার, কারো কারো এক লাখ টাকা এই অ্যাপসে রয়েছে বলে অভিযোগ, যার জেরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারনার শিকার হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।