লোকালয়ে ময়াল সাপের আনাগোনা আতঙ্ক ও সচেতনতার মেলবন্ধন!

চন্দ্রকোনা রোড সুমন পাত্র : সাম্প্রতিককালে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদমুড়া গ্রাম ও তার বিভিন্ন প্রান্তে আড়াবাড়ী এলাকায় ময়াল সাপ দেখা পাওয়া যাচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। মূলত বন জঙ্গলের বাসিন্দা হলেও, খাদ্যের অভাব বা বাসস্থান ধ্বংসের কারণে এরা লোকালয়ে প্রবেশ করছে, যা পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার একটি ইঙ্গিত।বন থেকে বেরিয়ে আসা ময়াল সাপগুলি আকারে বিশাল হওয়ায় মানুষের মধ্যে ভয় আরও বাড়ছে। সম্প্রতি, সুন্দরবনের মতো অঞ্চলে ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এমন বড় আকারের পাইথন উদ্ধারের ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটে থাকলেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে।ময়াল সাপ বিষধর না হলেও, অনেক সময় এদেরকে দেখে সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করলে বা ভুল করে আক্রমণ করলে বিপত্তি ঘটতে পারে। তার উপর, একই সময়ে চন্দ্রবোড়ার মতো বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। তবে বড় ময়াল সাপে ছোট ছোট ছাগলের উপর আক্রমণের ঘটনার নজির ইতিমধ্যেই আছে।অনেক ক্ষেত্রে এই সাপের কারণে ফসল ও গৃহপালিত পশুর ক্ষতি হচ্ছে, আবার চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়ে বা দৈনন্দিন কাজে বের হয়ে অনেকে সাপের কবলে পড়ছেন, যা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাচ্ছে।তবে স্থানীয় সূত্রে খবর এই ময়াল সাপগুলি বহিরাগত, এদের এনে ছাড়া হয়েছে। তাই অনেকেই অভ্যস্ত নয় সেই কারণেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। ময়াল সাপ লোকালয়ে বেরিয়ে আসা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, বরং এটি প্রকৃতির একটি সংকেত যে আমাদের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই সাপগুলিকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব, কারণ এরা আমাদের পরিবেশের এক অপরিহার্য অংশ। স্থানীয় এলাকার অনেকেই এই ঘটনার পর বনদপ্তরের সক্রিয়তা দাবি করেছেন।