পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের ভাদুতলা সংলগ্ন বন দফতরের জমি ছাইয়ের পাহাড়,বিপর্যস্ত স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা!
নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের ভাদুতলা সংলগ্ন বন দফতরের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে ফেলা হচ্ছে দূষণের ছাই।সেই ছাই জমে তৈরি হয়েছে ছাইয়ের পাহাড়।বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে ছাই।যার জেরে হাঁফানি, চর্মরোগের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী ব্লকের ভাদুতলা ও সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর, কুতুরিয়া, ধান্যশোল এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানার পাশেই বনদপ্তরের ৫-৭ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল করে ফেলা হচ্ছে কারখানার দুষিত ছাই বা বর্জ্য। শালবনী ব্লকের কর্ণগড় অঞ্চলের ভাদুতলাতে জঙ্গলমহল এগ্রো অয়েল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বর্জ্য ছইয়ের কারণে এলাকায় বিপুল দূষণ ছড়াচ্ছে, এই বর্জ্য ছাই কয়েক বিঘা জুড়ে ফরেস্ট এলাকায় ফেলে দেওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে জঙ্গলের গাছ ধ্বংস হয়েছে, পার্শ্ববর্তী ধানশলা গ্রামের কৃষিকাজেও বিপুল পরিমাণে ক্ষতি হচ্ছে। সেই ছাই কারখানা থেকে নিয়ে যাওয়াও হচ্ছে খোলা ট্রাক্টরে করে। তা ফেলাও হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। ছাই ফেলতে ফেলতে তা এখন একেকটা বড় বড় পাহাড়ে পরিণত হয়েছে! সেই ছাই উড়ে উড়ে দখল করছে গ্রাম, জঙ্গল। এমনকি কারখানার প্রাচীরও উঁচু নয়। কারখানা থেকেও ছড়াচ্ছে দূষণ। সবমিলিয়ে ধোঁয়া আর ছাই আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। গাছপালা ধ্বংস হচ্ছে, জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে আর ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তো ছাইয়ের আস্তরণে ঢাকছেই! এছাড়াও, রাসায়নিক মিশ্রিত দূষিত জল থেকেও নানাভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।” এ নিয়ে বার বার বনদপ্তর, ব্লক প্রশাসনের কাছে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাবে বর্জ্য ফেলছে বন দফতরের জায়গায়। তিনি বলেন, “আমি নিজে বারবার কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের জমি দখল করে নিচ্ছে। বন দপ্তর বারবার নিজেদের জমি সংরক্ষণ করার কথা জানাচ্ছে, যাতে গরীব মানুষরা নিজেরা চাষ করতে পারে। কিন্তু এই কারখানা কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়াচ্ছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যখন কোনো সুরাহা হয়নি, তখন আমি পুরো বিষয়টি রাজ্য স্তরে উর্দ্ধতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত সানি বলেন, "বিডিও-র উপস্থিতিতে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।