পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর পিড়াকাটা পাথরি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির বেহাল দশা বলে অভিযোগ?
সেখ ওয়ারেশ আলী : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর পিড়াকাটা এলাকা পাথরি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আজও বেহাল অবস্থা। বছরের পর বছর ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের পাথরি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। একসময় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই দুর্গম এলাকা আজও উন্নয়নের ছোঁয়া পেল না। যেখানে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, যেমন ছাদ নেই, জলের কল খারাপ, ফলে খুদে পড়ুয়াদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস করতে হচ্ছে, যা শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য বিপজ্জনক। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার বার তুলে ধরছে জঙ্গলমহল হাসছে।
বাস্তবে কি জঙ্গলমহল হাসছে? এমনই ছবি উঠে এসছে আমাদের ক্যামেরায়। জঙ্গলমহলের পাথরি গ্রামে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য তৈরি সরকারি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ভাঙা টিনের চালের নীচে রান্না হয় প্রতিদিনের খাবার, আর আলোহীন ঘুপচি ঘরে পড়াশোনা তো দূরের কথা—রুমের বারান্দাই তাঁদের শ্রেণিকক্ষ।প্রায় ৫০ জন শিশু ও গর্ভবতী মা প্রতিদিন খাবার সংগ্রহ করেন এই কেন্দ্র থেকে।
অথচ পরিকাঠামোর অবস্থা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। রান্নাঘরের ছাউনি বহুদিন আগে ভেঙে পড়েছে। অগত্যা জোড়াতালি দেওয়া টিনের তলাতেই চলছে রাঁধুনির কাজ। পড়ানোর ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ; ভাঙা ছাউনি থেকে রোদ-বৃষ্টি ঢোকে সরাসরি। ফলে বারান্দায় গাদাগাদি করে বসেই পাঠদান। অচল অবস্থা শৌচালয়ের শিশুদের জন্য তৈরি করা টয়লেট সম্পূর্ণ আগাছায় ঢেকে গিয়েছে। ভেতরে যাওয়া তো দূরের কথা, দরজার কাছে পৌঁছনোরই উপায় নেই। পানীয় জলের সমস্যাও নিরন্তর। সব মিলিয়ে একাধিক সমস্যার জেরে কার্যত ধুঁকছে পুরো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।