শুরু হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কর্ণগড়ে রানি শিরোমণির গড়ের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের সংস্কার কাজ!
নিজস্ব সংবাদদাতা : জোরকদমে শুরু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কর্ণগড়ে রানি শিরোমণির গড়ের সংস্কার কাজ।এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। শিরোমণি গড়ে ধ্বংসস্তূপ সংস্কারের সময় মাটি সরাতে উঠে এসেছে একাধিক প্রাচীন খিলান, দেওয়ালে খোদাই মূর্তি, সিঁড়ি এবং আরও একটি মন্দিরের অন্দর। আর তা দেখেই এই স্থাপত্য ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন। আধিকারিকদের দাবি, এর ফলে সেখানে আরও বেশি পর্যটক আসবে।পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা রানি শিরোমণি গড়ে ঝোপ জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল পাথর কেটে খোদাই করা পদচিহ্ন।
পদচিহ্নটি কার তা এখনও স্পষ্ট হলেও, এলাকার ইতিহাস প্রিয় মানুষদের আবেদন শুনে সেই পদচিহ্ন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।রাজ্যের পর্যটন তালিকায় স্থান পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়। রানি শিরোমণি ও চুয়াড় বিদ্রোহ খ্যাত এই অঞ্চলের দুটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ অধিগ্রহণ করেছে রাজ্যের পুরাতত্ত্ব বিভাগ। সম্প্রতি ওই অঞ্চল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এই ঐতিহাসিক স্মারক। ধাপে ধাপে খোদাই করা ত্রিস্তরীয় পাথরের একদম উপরিভাগে রয়েছে পদচিহ্নটি। নিচে যেন বেদি। ‘হেরিটেজ জার্নি’, ‘ভালবাসি কর্ণগড়’ ও ‘রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ’ সংগঠন- এর আহ্বায়ক ওই প্রাচীন পদচিহ্নটি দেখেই বুঝতে পেরেছিল তার ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে।
আবেদন জানিয়েছিল জেলা প্রশাসনের কাছে। তার পরে জেলাশাসকের উদ্যোগে এই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল অতিরিক্ত জেলা শাসক ও শালবনীর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জেলাশাসকের দফতরের পক্ষ থেকে তা পাঠানো হয়েছে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অন্তর্গত পুরাতত্ত্ব বিভাগে।জেলাশাসক খুরশিদ আলি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ঐতিহাসিক মূল্যসম্পন্ন ওই পদচিহ্ন সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার জন্য। তার পরে বিস্তারিত যাচাই করে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের পুরাতত্ত্ব বিভাগে। আবেদন জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রত্নতত্ত্ব মিউজিয়ামে এটিকে স্থান দেওয়ার জন্য। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন মেদিনীপুর মানেই উঠে আসে মঙ্গলকাব্য প্রসঙ্গ। তাই বৌদ্ধ প্রভাব বা ধর্ম ঠাকুর সম্পর্কিত তথ্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ধর্মীয় আচারে এই ধরনের পদচিহ্নের কথা উল্লেখ আছে। তাছাড়াও থাকছে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য। উল্লেখ্য, অতীতে মন্দিরের নীচের দিকেও বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক স্থাপত্য লক্ষ্য করা যেত। জেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপে আমরা খুশি।