পিকনিক সেরে আর বাড়ি ফেরা হল না আদরের মেয়েটা!
পূর্ব বর্ধমান নিজস্ব প্রতিবেদন : পিকনিক সেরে আর বাড়ি ফেরা হল না আদরের মেয়েটা।বাড়ি ফিরলো মেয়ের নিথর দেহটা। মাত্র পনের বছর বয়সী রুমা দাসের এই মর্মান্তিক মৃত্যু।সাউন্ড বক্স বাজানোর জন্য মোটর ভ্যানের উপর চাপানো থাকা জেনারেটারের চাকায় আচমকাই জড়িয়ে যাওয়ায় রুমার মাথার চুল। ওই অবস্থায় জেনারেটার থামাতে থামাতেই তার মাথা থেঁতলে যায়। তাঁকে রক্তাত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয় নি।চিকিৎসক রুমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।রুমার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তার পরিবার পরিজন। রুমা দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম থানার গোমাই গ্রামে।সেখানকার আশুতোষ মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের দশম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল এই কিশোরী। এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে,গোমাই গ্রামের ৪৫ - ৫০ জন কিশোর-কিশোরী সোমবারর সকালে স্থানীয় ঈশানী নদীর ধারে পিকনিক করতে যায়। পিকনিক স্থলে সাউন্ড বক্স বাজানোর জন্য মোটর ভ্যানে চাপিয়ে একটা জেনারেটর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এছাড়াও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রান্নার বিভিন্ন সামগ্রী। সন্ধ্যা নাগাদ পিকনিক শেষ হলে মোটর ভ্য্যান সহ জেনারেটর,সাউণ্ড বক্স ও বাকি সবকিছু নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিশোর-কিশোরীরা।প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী পিকনিক স্থল থেকে ফেরার সময় মোটর ভ্যানের উপর দাঁড়িয়েই সাউণ্ড বক্সের গানের তালে অনেকে নাচানাচি করছিল। সেই সময় লাফিয়ে ভ্যানে উঠতে যায় রুমা । আর তখনই জেনারেটরের চাকায় জড়িয়ে যায় তার মাথার চুল।তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা অন্যরা দ্রুত জেনারেটর বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ততক্ষণে থেঁতলে যায় কিশোরী রুমার মাথা।তবুও দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে কিশোরীর দেহ বাড়িতে ফিরলে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়ে তার বাবা রবি দাস মা রুপালীদেবী।এদিন চোখের জল মুছতে মুছতে রুপালীদেবী বলেন,“আমার একমাত্র ছেলে রোগে পড়ে কয়েক বছর আগে মারা যায়। তাই আমাকে মা বলে ডাকার বলতে ছিল একমাত্র মেয়ে রুমা। সেও অকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেল“!একের পর এক সন্তানকে হারিয়ে এদিন রুপালীদেবী কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।