"প্রত্যাবর্তন দ্য হোমকামিং"- আসন্ন শর্ট ফিল্মের ট্রেলার উন্মোচন হলো!
নিজস্ব সংবাদদাতা: একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডাক্তারদের সবার মিলিত যে ছবি মেডিক্যাল কলেজের রিইউনিয়নের সময়ের তৈরি করা "প্রত্যাবর্তন দ্য হোমকামিং" তার পোস্টার এবং ট্রেলার রিলিজ হয়ে গেল। মেডিক্যাল কলেজের এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । এই ছবিটির বিশেষত্ব হচ্ছে এই ছবিটিতে অভিনয় করা সমস্ত কলাকুশলী হচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনই এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে । ছবিটি মেডিকেল লাইফ অর্থাৎ ডাক্তারদের যে ছাত্র জীবন সেই জীবনকে হাইলাইট করে সেই জীবনের বিভিন্ন রকমের ওঠা বসা প্রেম বিচ্ছেদ সুখ দুঃখ বন্ধুত্ব সব মিলিয়ে এই ছবিটি তৈরি হয়েছে। এই ছবিটি যারা অভিনয় করেছেন তারা সবাই ডাক্তার। পরিচালনা করেছেন ডা: শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিটির ভাবনা ডা: অভিক ঘোষের। যিনি ইউনিয়নের সেক্রেটারি ও ছিলেন সেই সময়। কাহিনী লিখেছেন ডা: চিন্ময় নাগ। যিনি পেশায় একজন জনপ্রিয় অর্থোপেডিক সার্জেন এবং তার সাথে একাধিক গল্প কবিতার বই রয়েছে তাঁর। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন পাঞ্চালি চ্যাটার্জী। ছবির বিভিন্ন ভূমিকায় যারা অভিনয় করেছেন তারা সবাই ডাক্তার।
অভিনয় করেছেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডা:অয়ন মুখোপাধ্যায়(ডায়াবেটোলজিস্ট),ডা:প্রীথা চক্রবর্তী (গাইনোকোলজিস্ট),ডা:অমিত ঘোষ (ইউরোলজিস্ট), ডা:অনির্বাণ দোল (স্বাস্থ্য অধিকর্তা)। এছাড়াও বহু ডাক্তার এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ডা:সোমা দত্ত (গাইনোকোলজিস্ট)। শুধু তাই নয় এই ছবিতে অভিনয় করেছেন একজন প্রাক্তন সাংসদ তথা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী,ডা:সঙ্গমিত্রা ও বিধায়ক ডা:নির্মাল মাঝি। তার সাথে বহু বিখ্যাত এবং প্রখ্যাত ডাক্তার আছেন যেমন ডা:সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়,ডা: রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়,ডা:চিরঞ্জিত পল,ডা:ভাস্কর ভট্টাচার্য। ছবিটির গল্প একদম অন্যরকম।ছবিটির গল্পটি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জীবন এবং তাদের বিভিন্ন উত্থান-পতন চিত্রিত করার একটি প্রচেষ্টা। ডা: অভিক ঘোষের মতে, এর আগে যত বাংলা ছবি তৈরি হয়েছে, সবই হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফ নিয়ে অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফের মতো হিন্দি ছবি নিয়ে। ম্যানেজমেন্টের ছাত্রদের জীবন সঠিকভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, মেডিকেলের ছাত্রদের জীবন একইভাবে চিত্রিত করা হয়নি। 'সপ্তপদী' উত্তম কুমার সুচিত্রা সেন অভিনীত একটি খুব পুরনো বাংলা ছবি। সেখানে মেডিকেল জীবনের কিছু অংশ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই অংশটি বর্তমান মেডিকেলের ছাত্রদের জীবনের সাথে খুব একটা মিল নেই। উদাহরণস্বরূপ, নতুন ছবি ডক্টর জিতে এটি পাওয়া যায় না। বরং বলা যেতে পারে যে কোনও ভালো বাংলা বা ইংরেজি হিন্দি ছবি ডাক্তারদের জীবন সঠিকভাবে চিত্রিত করতে পারেনি, তাই বলা যেতে পারে যে ডাক্তার রাই সেই উদ্যোগ নিয়ে এই ছবিটি তৈরি করেছেন। এই ছবির মূল গল্প একটি মেডিকেল কলেজের ৬ জন ছাত্রকে নিয়ে। তাদের কলেজে প্রবেশ, বিভিন্ন সময়ে তাদের পড়াশোনা, বন্ধুত্ব, প্রেম, বিচ্ছেদ, ইত্যাদি, তারা ২০ বছর পর মেডিকেল কলেজের পুনর্মিলনে ফিরে আসে, নতুন বন্ধুদের সাথে দেখা করে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের মা আবার তার মায়ের কাছে ফিরে আসে। এটিই ছবির মূল বিষয়বস্তু।
ছবিতে ছয়টি গান রয়েছে, যার মধ্যে দুটি রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং দুটি শিবালিক ব্যানার্জির সুরে। ডাক্তার শিবালিক ব্যানার্জী পেশায় একজন ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও অসাধারণ সঙ্গীত তৈরি করেন। এবং গানটি যুক্তরাজ্য বা বিদেশে হলেও, তিনি মেডিকেল কলেজের মাটির সাথে খুব বেশি সংযুক্ত। এর সাথে আরও দুটি গান রয়েছে, একটি ডা: শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়ের সুরে এবং অন্যটি মেডিকেল কলেজের থিম সং। এটি সুর করেছেন নয়নমণি এবং ডাঃ রামপ্রসাদ মণ্ডল। গানগুলি সুর করেছেন শিবালিক ব্যানার্জী এবং মূলত শিবালিক ব্যানার্জী। ছবিতে গানগুলি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং কথাগুলিও ছবির সাথে প্রাসঙ্গিক। সবাই, ছবিটি খুব শীঘ্রই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে, সম্ভবত নতুন বছরের শুরুতে। ডাক্তারদের তৈরি। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি জীবন নিয়ে নির্মিত ছবিটি অন্তত একবার দেখার জন্য।