নারী নিরাপত্তার সুরক্ষা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল!

নিজস্ব প্রতিবেদন :  আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার চলছে বিক্ষোভ এবং মিছিল। গত রবিবার আদিবাসী সমাজের নেতৃত্বে মেদিনীপুর শহরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ, তরুণ ডাক্তার, যুব ছাত্র ছাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। আসল দোষীদের শাস্তি এবং নারী নিরাপত্তার সুরক্ষা নিশ্চিতকরন এবং কলকাতার ও বর্ধমানের হত্যাকান্ডে জড়িত খুনিদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে আদিবাসী সমাজ। বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় মেদিনীপুর শহরের হেলিপ্যাড মাঠে তারপর মেদিনীপুরের এল.আই.সি মোড়, কলেজ স্কোয়ার ,বটতলা ,কেরানিটোলা, ক্ষুদিরাম মোড়ে এসে সমাপ্তি বক্তব্য ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা হয়।

দাবি সমূহ :
১. স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ১৪ই আগস্ট গভীর রাতে যখন শহরে-গ্রামে রাজপথে নেমেছিলেন মহিলারা, প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল গোটা রাত, তখনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল বর্ধমানের নান্দুর গ্রামে। বাড়ির কাছেই উদ্ধার হল তরুণীর গলার নলি কাটা দেহ। মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা(Priyanka Hansda)। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন তিনি। দুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন তিনি। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের অতিসত্বর গ্রেপ্তার করতে হবে এবং কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।
২. স্বাধীনার মৃতদেহকে এতো দ্রুত পুলিশি নিরাপত্তায় দাহ করা হলো কেন তার জবাব চাই।
৩. পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী স্বাধীনার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল খুনিকে চিহ্নিত করা সত্ত্বেও এখনো প্রশাসন গ্রেপ্তার করছে না কেন তার জবাব চাই।
৪. কলকাতা আর.জি কর হাসপাতালের Dr. Moumita Debnath (তিলোত্তমা)-কে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যায় জড়িত সমস্ত ধর্ষক-খুনিদেরকে অতিসত্বর গ্রেপ্তার এবং কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।
৫. তিলোত্তমা কান্ডে জড়িত ধর্ষক-খুনিদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে ফাঁসি চাই।