প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাই কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা!

গবেষণায় দেখা গেছে,সম্প্রতি সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অল্পতেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।বাড়িতে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শাসন করলেই আবার কিছু অঘটনও ঘটিয়ে দিচ্ছে।যেমন-আত্মহত্যা, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া,অবসাদ, পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া প্রভৃতি।এছাড়াও দেখা গেছে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পড়াশোনা জনিত সমস্যার কারণেও ছাত্র-ছাত্রীরা মানসিক অবসাদে ভুগছে অর্থাৎ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।যেমন- পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া,আশানুরূপ পরীক্ষা না হওয়া,শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শাসন প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রীরা অল্পতেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে,এমনকি আত্মহত্যাও করে ফেলছে।তাদের সামাজিক আচার-আচরণও দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।নানান কারণে অল্পতেই তারা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।সর্বদাই তারা সেল্ফ কনফ্লিক্ট-এ ভুগছে।তাই এই বিষয়টিকে প্রতিরোধ করতে হলে সর্ব প্রথমে তাদের মধ্যে সমাজিক ও মানসিক বিকাশ সাধন করতে হবে।তার জন্য চাই কাউন্সেলিং ব্যবস্থা।তাই,প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন করে নানান বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যদি কাউন্সেলিং করানো হয় তাহলে তাদের মধ্যে সামাজিক ও মানসিক বিকাশ অনেকটাই উন্নত হবে।এর জন্য প্রফেশনাল কাউন্সেলরকে নিযুক্ত করতে হবে।এর পাশাপাশি মাঝে মাঝে বিভিন্ন মোটিভেশন মূলক ক্লাস বা সেমিনারের আয়োজন করতে হবে।এছাড়াও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কাউন্সেলিং এর উপর কোর্স করাতে হবে।এতে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।এতে তাদের সামাজিক ও মানসিক বিকাশ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে, তারা নিজেদের সমস্যা গুলোকে জানতে ও বুঝতে পারবে এবং প্রতিরোধও করতে পারবে।

জয়দেব বেরা - একজন তরুণ কবি,বই লেখক, প্রাবন্ধিক,সমাজকর্মী,কাউন্সেলর, সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক,মেডিক্যাল কলেজের সমাজতত্ত্বের অতিথি অধ্যাপক।