রথযাত্রার আনন্দে সামিল হল দুই শহর মেদিনীপুর ও খড়্গপুর!
নিজস্ব সংবাদদাতা : মেদিনীপুরে জগন্নাথদেব রথযাত্রায় উপস্থিত হন নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া ৷ তাঁর হাত ধরেই উদ্বোধন হয় অনুষ্ঠানের ৷ এদিন সাংসদের হাত ধরে রথযাত্রার নগর পরিক্রমা শুরু হয় জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে ৷ মূলত এই দিন নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী নিয়ম রীতি মেনেই রথযাত্রার উদ্বোধন হয় ৷প্রসঙ্গত, রথযাত্রার দিক নির্দেশ করা হয়েছে জগন্নাথ মন্দির থেকে। এরপর স্কুল বাজার, বটতলাচক কেরানিতলা ক্ষুদিরাম স্ট্যাচুতে পৌঁছানোর পর সেখানে ঢাকঢোল পিটিয়ে আতশবাজি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আরতি হবে। এরপর ওল্ড এলআইসি মোড়, রাজাবাজার গোলকুয়াচক, ছোটবাজার, স্কুলবাজার হয়ে নতুন বাজারে মাসির বাড়িতে পৌঁছবেন মহাপ্রভু জগন্নাথদেব, বোন সুভদ্রা ও দাদা বলরাম ৷ জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া এলাকা এবং কলেজ মোড় এলাকায় দুপুর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। রথ দেখার জন্য প্রচুর মানুষ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শহরের কালেক্টরেট মোড়ে সন্ধ্যারতি হয়।
প্রতিবছরের মতো এ বারও রথযাত্রা ঘিরে চেনা উন্মাদনার ছবি দেখা গিয়েছে রেলশহর খড়্গপুরে। রবিবার ছুটির মেজাজে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত নিউ সেটলমেন্টের ‘জগন্নাথ জিউর মন্দিরে’। ১৯৮৬ সালে নিউ সেটলমেন্টের রেলের জমিতে জগন্নাথদেবের একটি ছোট মন্দির নির্মিত হয়। পরবর্তী কালে ২০০২ সালে ওড়িশা সরকারের সংস্কৃতি বিভাগের অনুদানে ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সাহায্যে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নতুন মন্দির গড়ে ওঠে। তারপর থেকেই এই রথযাত্রার পথচলা শুরু। এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি পৃথক রথের যাত্রার সূচনা হয়।
এছাড়াও খড়্গপুরের সুভাষপল্লি ও তালবাগিচায় রথযাত্রা ঘিরে বহু মানুষের ভিড় হয়। সুভাষপল্লি রথযাত্রার মেলা সাংসদ জুন মালিয়া হাত ধরেই উদ্বোধন ৷ তালবাগিচার রথতলায় সাত দিনব্যাপী মেলারও এ দিন সূচনা হয়। রবিবার ছুটির দিনে মেলা ঘিরে মাতে আট থেকে আশি সকলেই।