পশ্চিমবাংলার অন্যতম ফুটবল ক্লাব এস বি ইলেভেনের উদ্যোগে পৌরসভার বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে প্রতিমা দর্শন!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : আলোয় আলোয় সেজে উঠেছে মেদিনীপুর শহর। রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল, পাড়ায় পাড়ায় বাজছে গান। অথচ, এত আনন্দেও গৃহবন্দি তাঁরা, তাঁরা বলতে, সেই সকল বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা যাঁদের সামর্থ্য নেই একলা এই উৎসবের শহর ঘুরে দেখার। কারোর সন্তান-সন্ততিরা দেশ ছেড়েছেন কর্মসূত্রে। কেউ আবার নিজের জীবন যাপন নিজের মত কাটানোর জন্য বাবা- মায়েদের বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দেন। তাই এবার তাঁরাও দল বেঁধে পথে নামলেন ঠাকুর দেখতে। এস বি ইলেভেন মেদিনীপুর ফুটবল ক্লাবের কর্ণধার আবির আগারওয়াল এর নেতৃত্বে, প্রগতি ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় মেদিনীপুর শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের পৌরসভার যে বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে, সেই বৃদ্ধাশ্রমের প্রায় ৩০ জনের মতো বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নিয়ে পুজো দর্শনের আয়োজন করা হয়।

এস বি ইলেভেন মেদিনীপুর ফুটবলের কর্ণধার আবির আগরওয়াল বলেন, পুজোর সময় গত সপ্তমীতে এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাবা মায়েদের কিছু বস্ত্র দিতে গেলে তারা এ-বছর ঠাকুর দেখতে যেতে চাই বলে আবদার করেন বসেন। তাঁদের এই আবদার ভাবিয়ে তুলেছিল আবির আগারওয়ালকে। সত্যিই তো, প্রবীণ ব্যক্তিদের কি ইচ্ছে করে না এই উৎসব-আয়োজনের অংশ হয়ে উঠতে? অথচ, পুজোর শহর ঘুরে দেখার কোনো সঙ্গী নেই তাঁদের, নেই সামর্থ্যও। তাই বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকেই বৃদ্ধাশ্রম থেকে প্রায় ৩০ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নিয়ে পূজো দর্শন করতে বেরিয়ে পড়েন টোটোতে করে। দুপুরে তাদেরকে তৃপ্তি করে আহারের ব্যবস্থা করেন এস বি একাদশ ফুটবল ক্লাবের কর্ণধার থেকে সদস্যরা। উপস্থিত বয়স্কা বৃদ্ধা বলেন,"অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের এই আবদার পূরণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ"। তারই সাথে সাথে বলেন "নিজের ছেলে থেকেও দেখেনা অপরদিকে এই ছেলেটি কয়েকদিনের আলাপেই আমাদের এত আপন করে নিয়েছে"। দুই দিন আগে কথা দিয়ে সেই কথা রাখলেনও"। অন্যদিকে বয়স্ক মানুষগুলির এই হাসিতে এ বছরের পূজো সার্থক হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।