SB XI ফুটবল দলের উদ্যোগে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে পুজো পরিক্রমা!
নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকের বাদ্যি, ধুনোর গন্ধ আর শঙ্খনিনাদে মনটা নেচে ওঠে। উৎসবে মেতে ওঠার ইচ্ছা করে তাঁদেরও। পুজো আসে, পুজো যায়। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের রোজনামচায় কোনও বদল ঘটে না। একই স্রোতে জীবন বয়ে যায়।কিন্তু বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়া কাঁধগুলোর আর দুর্গাদর্শন হয়ে ওঠে না। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থেকেই কেটে যায় পুজোর পাঁচটা দিন। বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ঠাকুর দেখতে পেলেন কি না, মায়ের সামনে হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে পারলেন কি না, প্রসাদ মুখে উঠল কি না, এসব খেয়াল আর কে রাখে। পরিবার যে একা থাকার নিয়তিই রচনা করে দিয়েছে। শারদোৎসব শুধু আলোর, সাজের আর ভক্তির উৎসব নয়, এই উৎসব হল ভালোবাসা ও মানবিকতারও। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মেদিনীপুরের SB XI ফুটবল দল।
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও দুর্গোৎসব উপলক্ষে তারা এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে — মহা ষষ্ঠীতে মেদিনীপুর পৌরসভা পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণ বাসিন্দাদের নিয়ে শহরের উল্লেখযোগ্য পূজামণ্ডপে ঘোরার ব্যবস্থা করেছে তারা।মেদিনীপুরের SB XI ফুটবল দলের সদস্যরা নিজেরাই এসে বৃদ্ধাশ্রম থেকে দাদু-ঠাকুমাদের গাড়িতে করে নিয়ে যান শহরের নামী দুর্গাপুজো মণ্ডপে। প্রবীণদের মুখে খুশির ছাপ, চোখে ছিল কৃতজ্ঞতার আলো। ফুটবল দলের কর্ণধার তথা শহরের অন্যতম সমাজসেবী আবীর আগরওয়াল জানান,"আমরা শুধু খেলার মাঠেই নয়, সমাজের জন্যও কিছু করতে চাই।
এই মানুষগুলো এক সময় আমাদের সমাজ গড়েছেন, আজ তাঁদের একটু আনন্দ দেওয়াই আমাদের প্রাপ্তি।" পূজো পরিক্রমার শেষে প্রবীণদের নিজেদের সাধ্য মতো খাওয়ানোরও ব্যবস্থা করা হয়। এদিনের এই মানবিক কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন মেদিনীপুর পৌরসভার কর্মকর্তারাও।মেদিনীপুর SB XI দলের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রমাণ করে, দুর্গাপুজোর আনন্দ তখনই পূর্ণ হয় যখন তাতে থাকে সমাজের সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ও ভালোবাসার ছোঁয়া।