সকালে তৈরি গভীর নিম্নচাপ, আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, দক্ষিণবঙ্গে জারি হলুদ সতর্কতা !
নিজস্ব সংবাদদাতা : 'রেমাল' এর অর্থ হল বালি। ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হল শুক্রবার সকালে । যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হবে। যে সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে। শুক্রবার সকালে ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থান করছিল, তা শেষ ১২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে মধ্য বঙ্গোপসাগরে সেই গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে।পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে কতটা দূরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ? মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্যানিংয়ের ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণে সেই গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। আর বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৮০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। যা শনিবার সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এখন উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। যা শনিবার সকালের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেই গভীর নিম্নচাপ। তারপর আরও উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়। আর প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সাগরদ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করতে পারে রেমাল। শনিবার কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ওই জেলাগুলির একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি ১২টি জেলায় (হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝড় উঠবে। সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে রবিবার জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমিতে ঝড় উঠবে। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায় ঝড়ের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ার কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।