শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালতে অগণিত ভক্তের ঢল এবং লম্বা লাইন মন্দির প্রাঙ্গন জুড়ে!
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার হলো ২৫শে শ্রাবণ ১১ই আগস্ট।নদিয়ার মাজদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় রয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ। শিবনিবাস মন্দির, যেটি তৈরি করেছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। সেখানেই অবস্থিত এই শিবলিঙ্গটি। জানা যায়, বর্গীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি মাজদিয়ার শিবনিবাস অঞ্চলে আসেন একবার। তখনই তিনি এই মন্দিরটি বানান। এছাড়াও আরও অনেক কাহিনী আছে এই শিবনিবাস মন্দির ঘিরে। বর্তমানে এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তের ঢল আসেন এই শিবনিবাস মন্দিরে পুজো দিতে। রবিবার সকাল থেকেই নবদ্বীপের ভাগীরথী নদী গঙ্গা থেকে গঙ্গাজল নিয়ে ভক্তরা শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢালতে আসেন। নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার জুড়ে ছিল শুধুই শিবভক্তদের মিছিল। কেউ টেবল সাজিয়ে, কেউ নানা রঙের ঘট সাজিয়ে নবদ্বীপ থেকে জল ভরে কৃষ্ণগঞ্জের পথে রওনা দেন।তবে শেষ সোমবারে সেই ভিড় যেন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। পুরো রাস্তাজুড়ে ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি। পাশাপাশি, বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভক্তদের জন্য জল ও প্রসাদের ব্যবস্থা করেছিল। ৮ থেকে ৮০ বছরের মানুষ আজকের দিনে বহু দূর দূরান্ত থেকে কেউ পায়ে হেঁটে, আবার কেউ গাড়িতে চড়ে শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন।