ঝাড়গ্রামে লালদুর্গ পুনরুদ্ধারে বামেদের বাজি সোনামণি !
নিজস্ব সংবাদদাতা : স্থানীয় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা সোনামণির উপরই এবার ঝাড়গ্রামে ভরসা সিপিএমের। জঙ্গলমহল এককালের লালদুর্গ হিসেবে পরিচিত হলেও সময়ের স্রোতে এখন বামেদের কাছে তা শুধুই স্মৃতি। ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে ধাপে ধাপে শক্তি হারিয়ে সিপিএম কার্যত অস্তিত্বহীন। এই চরম দুঃসময়ে ঘুরে দাঁড়াতে এবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বামেদের বাজি অপ্রতিরোধ্য সোনামণি টুডু। হিসেব বলছে বামেদের চরম দুর্দিনেও গ্রামসভা হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচন যতবার তিনি লড়াইয়ে নেমেছেন সোনামণির অশ্বমেধের ঘোড়া থামানোর ক্ষমতা হয়নি কারও। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুচিয়া গ্রামে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয় পান তিনি। ছোট ময়দানে বিপুল সাফল্য পেলেও এবারের লড়াই সরাসরি লোকসভার ময়দানে।
সিপিএমের তরফে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই জোরকদমে প্রচারে নেমে পরেছেন সোনামণি। প্রচারে একদিকে যেমন তৃণমূল শাসনে রাজ্যে দুর্নীতির কথা তুলে ধরছেন, অন্যদিকে তেমনি কর্মসংস্থান ও ঝাড়গ্রামের মতো প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের স্বনির্ভরতা লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার করছেন। মন্দির মসজিদের রাজনীতি নয়, মানুষের সার্বিক উন্নয়নকে মাথায় রেখে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের মানুষের কাছে। তবে ঝাড়গ্রামের লড়াই এবার বেশ কঠিন হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে এই কেন্দ্রে কালীপদ সোরেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি এখনও এখানে প্রার্থী না দিলেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে এসইউসিআই, আইএসএফ। তবে প্রতিপক্ষকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ সোনামণি। তাঁর লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত, ধর্মীয় ভেদাভেদহীন সমাজ ও মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।
ফলে আসন্ন নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জোর টক্করের সম্ভাবনা। সেখানে এলাকাবাসীর কাছের মানুষ, সমাজসেবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত সোনামণিকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহলে লাল দুর্গ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন বামেদের চোখে।