পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতির ময়দানে পরিবারতন্ত্রে দাঁড়ি পড়বে,শুরু হবে ‘ব্যক্তি-রাজ’!
পূর্ব মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : অধিকারী ও গিরি পারিবারিক সম্পর্কে আবদ্ধ। সম্পর্কে অখিল গিরি হন শুভেন্দুর মেসোমশাই। ১৯৯৮ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুরে তৃণমূল দলের জেলার সভাপতি ছিলেন অখিল গিরি। তারপর নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সূত্রে শিশির অধিকারী হন তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতি। রাজনৈতিক ময়দানে হয় অধিকারীদের উত্থান। পরে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে,সেই ব্যাটন যায় রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি ও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরির উপর। অখিল গিরি হন মন্ত্রী,পাশাপাশি সুপ্রকাশ পায় কাঁথির পুরপ্রধান ও যুব সংগঠনের জেলার দায়িত্ব। বর্তমানে কুকথার জেরে অখিল হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব। জেলা রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের অনুমান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক। মূলত, গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে কালীঘাটের নজরে পড়েন উত্তম। হন জেলা সভাধিপতি। এমনকি কাঁথিতে লোকসভা ভোটে হারলেও উত্তমের লড়াইকে কুর্নিশ জানান খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলত একটা সুবিধা পেতে পারে উত্তম। অখিল গিরি জানিয়েছেন, মন্ত্রিত্ব গেলেও বিধায়ক হিসেবে তিনি কাজ করবেন। অন্যদিকে উত্তম বলেন, ‘‘আমরা কেউই কিছু নয়। চালক একজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে যাঁরা এঁদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা বাংলার রাজনীতিতে মুছে গিয়েছেন।’’ তাহলে কি পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতির ময়দানে পরিবারতন্ত্রে দাঁড়ি পড়বে, শুরু হবে ‘ব্যক্তি-রাজ’?