পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ডিআই এর তরফে ব্যতীত অন্য কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীরা!
নিজস্ব সংবাদদাতা : স্কুল পড়ুয়াদের জন্য নয়া নির্দেশ! স্কুল চত্বরের বাইরে স্কুলশিক্ষা দফতরের অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না স্কুল পড়ুয়ারা! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডিআই (সেকেন্ডারি) বা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন কুমার সামন্ত স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসে। সেই নির্দেশিকাতে জেলার সমস্ত জুনিয়র হাই স্কুল, হাই স্কুল ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধানদের স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- শিক্ষা দপ্তর নির্দেশিত কর্মসূচি ছাড়া, স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্র- ছাত্রীরা অন্য কোন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে না। এই বিষয়টি প্রধান শিক্ষকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে ডিআই স্বাক্ষরিত নির্দেশিকাতে। ফলে, শুক্রবার ২৩ আগস্ট থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিল করা যাবে না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য শহর, মফঃস্বল এমনকি গ্রামে গ্রামেও চলছে প্রতিবাদ মিছিল। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ। পিছিয়ে নেই মেদিনীপুরও। ১৪ আগষ্ট মধ্যরাতে শহরে পালিত হয়েছিল মহিলাদের রাতদখল কর্মসূচি। কর্মবরতি পালন করছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। শহরে প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিল। বৃহস্পতিবারই বৃহস্পতিবারই জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তারপরেই জেলা স্কুল ইনস্পেক্টরের এই নির্দেশিকা, যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডিআই (সেকেন্ডারি) বা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন কুমার সামন্ত স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসে। সেই নির্দেশিকাতে জেলার সমস্ত জুনিয়র হাই স্কুল, হাই স্কুল ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধানদের স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- শিক্ষা দপ্তর নির্দেশিত কর্মসূচি ছাড়া, স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্র- ছাত্রীরা অন্য কোন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে না। এই বিষয়টি প্রধান শিক্ষকদের নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে ডিআই স্বাক্ষরিত নির্দেশিকাতে। ফলে, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ছাত্র-ছাত্রীরা যে আর "আমার দিদির বিচার চাই” স্লোগান তুলে পথে নামতে পারবে না, তা বলাই বাহুল্য!