মহিলা স্বাস্থ্য নিয়ে রাজ্যসভায় প্রথম ভাষণ সুধা মূর্তির
নিজস্ব সংবাদদাতা : মঙ্গলবারই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রথম বক্তৃতা করেছিলেন সমাজকর্মী ও ইনফোসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুধা মূর্তি। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত হন সুধা। নারী দিবসে নারী শক্তির প্রতীক হিসাবে রাজ্যসভায় সুধাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মোদি।মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের ভাষণ দেন পদ্মভূষণ সুধা। নিজের বাবার উক্তি স্মরণ করে তিনি বলেন, “বাবা বলতেন, এক মায়ের মৃত্যু হলে হাসপাতাল বলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের কাছে মায়ের মৃত্যু মানে চিরদিনের ক্ষতি।” এই উক্তি তুলে ধরে মহিলাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি সরকার কী কী ভূমিকা নিয়েছে, সেই নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুধা। সারভাইক্যাল ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে শুরু করে মহিলাদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ- ১৩ মিনিটে ভাষণে সমস্ত বিষয় তুলে ধরেন তিনি।তিনি বলেন, '৯ থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। মেয়েদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে। কারণ প্রিভেনশন ইজ় বেটার দ্যান কিওর।' এর সঙ্গেই সুধা বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের আওতায় আনার ব্যাপারে আরও সক্রিয় হতে হবে সরকারকে।তাঁর কথায়, 'আমাদের দেশে ৪২টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে। কিন্তু আরও ৫৭টি সেই তকমা পাওয়ার অপেক্ষায়। আমরা সেগুলিকে নিয়ে এ বার চিন্তা শুরু করি।' ওই তালিকায় সুধা তুলে এনেছেন মহারাষ্ট্রের শিবাজি ফোর্ট, ত্রিপুরার উনকোটি রক, ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির, কর্নাটকের বাহুবলী মূর্তি, গুজরাতের লোথাল এবং কর্নাটকের বিজাপুরের গোল গুম্বড সৌধের মতো অনেকগুলি নাম। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীরের মুঘল গার্ডেন বা তামিলনাড়ুর শ্রীরঙ্গম মন্দিরের মতো দেশের ঐতিহ্যশালী সৌধগুলিকে রক্ষা করা জাতীয় কর্তব্য। পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্রের রাস্তাঘাটের মানোন্নয়ন, উন্নত শৌচালয় তৈরির উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলির উন্নতি হলে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে, তেমনই বাড়বে সরকারের আয়।