শুরু হল "ডিএমসি কে বলো"", সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস!

দুর্গাপুর নিজস্ব সংবাদদাতা :  প্রায় দেড় বছর আগে শেষ হয়েছে পুরসভার মেয়াদ। কাউন্সিলর শূন্য সব ওয়ার্ড।৪৩টি ওয়ার্ডের সমস্যা মেটাতে তৈরি হয় পুর প্রশাসক বোর্ডও। লোকসভা নির্বাচনের আগে সরাসরি "ডিএমসিকে বলো" নয়া কর্মসূচির সূচনা করলেন প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় । দুর্গাপুরের ৪৩টি ওয়ার্ডের মানুষের সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজতেই এই ভাবনা বলে জানালেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। প্রত্যেক মাসেই একটি নির্দিষ্ট দিনে এই অনুষ্ঠানের জন্য চালু হল হেল্পলাইন নাম্বার।নাম্বারটি হল 07074070770 . এই নাম্বারে ফোন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করে দুর্গাপুর পৌরনিগম এলাকার বাসিন্দারা পৌর পরিষেবা জনিত যেকোনো সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন।আর গুরুত্ব বুঝে সেইসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের পৌরপ্রশাসক মন্ডলী।আজ"" ডিএমসি কে বলো""প্রথম দিনের এই এক ঘন্টার অনুষ্ঠানে চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রশাসক মন্ডলীর অন্য চার সদস্যের মধ্যে অন্যতম রাখি তিওয়ারি, ধর্মেন্দ্র যাদব এবং দীপঙ্কর লাহা। শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি পৌর প্রশাসক মন্ডলীর আরও এক সদস্য অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২২সালের ৫সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে দুর্গাপুর পুরসভার মেয়াদ। নির্বাচনের দাবিতে কখনো পুরসভা ঘেরাও কখনো পথ অবরোধে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। দেখতে দেখতে পার হল বিধানসভা নির্বাচন, চলে এলো লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু আজও হলো না পুরসভা নির্বাচন। দুর্গাপুর পুরসভায় ৪৩টি ওয়ার্ডের মানুষ কেমন পরিষেবা পাচ্ছেন শুনতে, আর মানুষের সমস্যা মেটাতে শুরু হল প্রশাসক মন্ডলীর নয়া উদ্যোগ সরাসরি ' ডিএমসিকে বলো'। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত দুর্গাপুর নগর নিগমে বসে সরাসরি ফোনে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনলেন প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় আর সদস্যরা। প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন,"সাধারণ মানুষেরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না বিরোধিরা নানান অভিযোগ তোলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের পাশে প্রতি মুহূর্তে রয়েছে পুর প্রশাসক বোর্ড। সরাসরি মানুষের সমস্যা শোনা হল। আর সেই সমস্যাগুলি ১সপ্তাহের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন।""এরপর প্রত্যেক মাসের একদিন একঘন্টা করে আয়োজিত হবে ডিএমসিকে বলো অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান চালু হওয়ার কারণে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অত্যন্ত খুশি। কারণ ওয়ার্ড গুলিতে এই সময় কাউন্সিলরদের কোনও ভূমিকা না থাকার কারণে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমজনতা সরাসরি তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যদের কাছে।।