মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ১৪২ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন হল!

পশ্চিম মেদিনীপুর  নিজস্ব প্রতিবেদন : মেদিনীপুর টাউন স্কুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীনতম বিদ্যালয়।১৪২ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্‌যাপন হল বুধবার।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহরলাল পৈড়া মহাশয়ের তত্বাবধানে সমস্ত শিক্ষক - শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী ও ছাত্রদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠান সফল হল।  অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সৌমেন খান। ১৮৮৩ সালে ৩ রা জানুয়ারি এই বিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সমাজে পিছিয়ে পড়া,অবহেলিত ছাত্রদের দেশীয় পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে।। স্বাধীনতা আন্দোলনে এই স্কুলের অবদান অবিস্মরণীয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ছাত্র সমাজের অবদান অবিস্মরণীয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মেদিনীপুর জেলায় দুটি স্কুল ছাত্র তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল ১) কলিজিয়েট স্কুল।২)মেদিনীপুর টাউন স্কুল। মেদিনীপুর টাউন স্কুল কে বলা হয় 'বিপ্লবীদের আঁতুড়ঘর' মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ছাত্ররা ১৯০৫-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সমস্ত আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করে। মেদিনীপুরে ছাত্র আন্দোলন ছিল শান্ত অহিংস প্রকৃতির তবুও মাঝে মাঝে এই তরুণ গোষ্ঠী হিংস্র হয়ে উঠতো। তাদের মধ্যে যারা সক্রিয় ছিল তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে রইলো। ১৯১১ সালে সরকার বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন নাকচ করে দিলে ছাত্র আন্দোলন তখনকার মতো শেষ হয়ে যায়, তবে ছাত্রদের মধ্যে নান ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অসহযোগ আনদোলনের পদ্ধতি সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা ও পরিচিত না থাকা সত্বেও মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেদিনীপুর শহরে প্রথম তখন তেমন কোনো আন্দোলন হয় নি টাউন স্কুলের ছাত্রদের যথা, শচীন মাইতি,পূর্ণ চক্রবর্তী, নগেন সেন,মৃত্যুঞ্জয় জানা প্রভৃতির চেষ্টায় শহরে প্রাচীন নেতাগন এই আন্দোলনে যোগ দেন। স্বাধীনতার অমৃত স্রোতে নিজেদের ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য এরা উন্মুখ ছিল। এক দিন মেদিনীপুরের ৫ টি কিশোর ছাত্র পরিমল কুমার রায়,পুলিন বিহারী মাইতি,নীরেন্দ্রনাথ মাঝি,সন্তোষ কুমার মিশ্র, হরিপদ ভৌমিক। এরা একত্রে গীতা হাতে শপথ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা জীবন তুচ্ছ করবে। এদের সমবেত চিন্তার প্রকাশ্য রুপ ধারণ করলো মেদিনীপুর টাউন স্কুলের 'মিলন মন্দির' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।