ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির দুর্গতদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ক্ষতিপূরণ টাকা !

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত মাসের শেষে আচমকাই মিনি টর্নেডো আছড়ে পড়েছিল উত্তরবঙ্গে। যার ফলে জলপাইগুড়ি জেলার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনকেরই প্রাণহানি হয়েছে, ঘরবাড়িও ভেঙেছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছে। মূলত লোকসভা নির্বাচনের জন্য বর্তমানে আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এর মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টন ঘিরে বিস্তর চর্চা চলেছে। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে প্রথম ধাপে ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন দুর্গতরা। তারপর সোমবার আবার তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল দ্বিতীয় দফার টাকা। এবার দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ হাজার টাকা ঢুকল ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের অ্যাকাউন্টে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাকি টাকাও পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা।কোথায় থাকবেন, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না দুর্যোগে বিপর্যস্ত পরিবারগুলি। এবার দ্বিতীয় ধাপে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকায় কিছুটা স্বস্তিতে টর্নেডোর ঘূর্ণিতে দুর্গত মানুষরা। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহুতপাড়া এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ রায়ের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ঝড়ের তাণ্ডবে। এদিন তাঁর অ্যাকাউন্টেও ঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে। সন্তোষ রায়ের বক্তব্য, ‘দুবার মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা পেলাম, এই টাকাটা পাওয়ায় আমরা মোটামুটি একটা ঘর বানিয়ে আপাতত থাকতে পারব। আমার পুরো বাড়িটাই তছনছ হয়ে গিয়েছে। একটা সাজানো বাড়ি ভেঙে গেলে কী হয়, বোঝেনই তো! আজ অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার খবর পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত লাগছে।’ জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভিনও এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানিয়েছেন, যাদের বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের আরও ৪০ হাজার টাকা বণ্টন শুরু হয়েছে।