বিজেপি-তৃণমূলকে ভোট নয়, সেটাই উল্লেখ করে বামেদের ইস্তেহার প্রকাশ !
বামেদের দাবি, মোদী সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন ১২০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ৫৫। ২০২৩ সালে তা হয়েছে ১১১......
কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা : কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর, কোন কোন ক্ষেত্রে তা পূরণ করতে পারেনি ও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এই নিয়ে রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করল বামেরা। বামেদের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, কীভাবে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি- প্রতি ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আর তা কতটা পূরণে সফল। কেন বিজেপি-তৃণমূলকে ভোট নয়, সেটা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বামেদের ইস্তেহারে। তৃণমূলের ইস্তেহারকে কটাক্ষ করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বললেন, “তৃণমূলের ইস্তেহার রাজনৈতিক ঠাকুমার ঝুলি।” বামেদের বক্তব্য, সংসদে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছে বিজেপি সরকার। দু’দিনে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোনও আলোচনা ছাড়াই জোর করে বিল পাশ করানো হচ্ছে এমনকি বাজেটের পাশের ক্ষেত্রেও তাই। বামেদের দাবি, ৭৯ শতাংশ বাজেট আলোচনা ছাড়াই পাশ করানো হচ্ছে। বামেদেরও একই দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। অন্যদিকে আবার ইডি-সিবিআই-এনআইএ-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগ প্রথম থেকেই করে এসেছে এ রাজ্যের শাসকদল। সেই একই বিষয় ইস্তেহারে উল্লেখ করেছে বামেরা। এমনকি কমিশনও যে পক্ষপাতদুষ্ট তাও উল্লেখ রয়েছে। বামেদের দাবি, মোদী সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন ১২০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ৫৫। ২০২৩ সালে তা হয়েছে ১১১। এছাড়াও কৃষিতে সঙ্কটের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাদের দাবি, সরকারের বাজেট ও বরাদ্দ দেখলেই কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে মোদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। কারণ তাদের দাবি, মোদী সরকার কৃষি ও কৃষক সম্পর্কিত বাজেটের ক্ষেত্রে ৮১ হাজার কোটি টাকা কেটেছে। এমনকি টাকার জোরে বিরোধী নির্বাচীত বিরোধীদের সরকারও ভাঙছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, এই একই অভিযোগ প্রথম থেকে তুলেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি এনআইএ-এ অভিযানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধরনাতেও বসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ইস্তেহারে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তারা নির্ণায়ক হবে। সে বিষয়ে বিমান বসু বলেন, “আমরা ইন্ডিয়া জোটের শরিক। অন্যান্য জোটের শরিকদের নিয়েই ৪২ আসনে লড়াই করছি। তৃণমূল তো আলাদা লড়াই করছে। ১০৩ পাতার ইস্তেহার।” বিমান বসুর কটাক্ষ, “তৃণমূলের ইস্তেহার রাজনৈতিক ঠাকুমার ঝুলি। পড়তেও ইচ্ছে করবে না। নির্বাচনী ইস্তেহারে লেখা দিদির শপথ। এর মানে কী? নির্বাচন ভারতের। পশ্চিমবঙ্গের নয়। পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্য। নির্বাচনটা লোকসভার।” বিমান বসুর কথায়, “তৃণমূলের ইস্তেহার দেখলে মনে হয় রাজ্যের নির্বাচন।”