মেদিনীপুরে শুরু হলো তিন দিনের ইন্দো বাংলাদেশ বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া (পূর্বাঞ্চল) ও মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সহযোগিতায় রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় (স্বশাসিত)-এর চিত্রাঞ্জলি ক্যাম্পাস ফিল্ম সোসাইটি'র উদ্যোগে মহাবিদ্যালয়স্থিত ড. বি. সি. রায় মেমোরিয়াল হলে ২৯ শে জুলাই থেকে ৩১ শে জুলাই ২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিন ব্যাপী "ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল"। সোমবার প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা তথা চলচ্চিত্র পরিচালক অতনু ঘোষের হাত দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। উদ্বোধনী ভাষণে তাঁর কথায় উঠে আসে সিনেমা ও তার সাথে বাস্তব ও সত্যের সংযোগ ও বিরোধের মতো উল্লেখযোগ্য বিষয়। মনোজ্ঞ আলোচনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলাদা মাত্রা যোগ করেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া (পূর্বাঞ্চল) এর সহ সভাপতি প্রেমেন্দ্র মজুমদার, ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া (পূর্বাঞ্চল) এর সহ-সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল মহোদয় ও মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সত্যজ্যোতি অধিকারী মহোদয়। প্রখ্যাত হওয়াকল পাবলিশার্স এর পক্ষ থেকে সিনেমা চর্চা ও সমালোচনার ক্ষেত্রে বীতশোক ভট্টাচার্য সম্পাদিত খ্যাতনামা বই "সিনেমার শিল্পরূপ" পুনঃপ্রকাশিত হয় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি সিদ্ধার্থ সাঁতরা বইটির উৎকর্ষের দিকটি তুলে ধরেন এবং ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনে এইধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় (স্বশাসিত)-এর অধ্যক্ষ ড. জয়শ্রী লাহা এই অনুষ্ঠান সংগঠনে ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া (পূর্বাঞ্চল) ও মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির অকুন্ঠ সাহায্যের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন যে এই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন উচ্চশিক্ষায় সিনেমা চর্চার পরিধিকে অনেক ব্যাপ্ত করবে। চিত্রাঞ্জলি ক্যাম্পাস ফিল্ম সোসাইটি'র সম্পাদক ড. সৌম্যদীপ চক্রবর্ত্তীর কথায়, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'বিনিসুতোয়', 'ইতি তোমারই ঢাকা', 'মায়া', 'পাপ পুণ্য' এবং 'বিউটি সার্কাস'-এর মতো ফিল্মগুলি সামসাময়িককালের কৃষ্টি পরিমণ্ডলের এক গভীর চালচিত্র তুলে ধরে এবং চলচ্চিত্র চর্চায় নতুন পথের সন্ধান দেয়। উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে অতনু ঘোষের 'বিনিসুতোয়' সামগ্রিক অনুষ্ঠানের উচ্চমানদণ্ড প্রস্তুত করে। মেদিনীপুর শহর ও শহরতলির বাইরেও বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ঘিরে আগ্রহ ও উন্মাদনা আয়োজক ও উদ্যোক্তাদের আপ্লুত করেছে।