পশ্চিম মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স সেন্টারের তিন দিনের কর্মশালায় সমাপ্তি!

নিজস্ব সংবাদদাতা : শেষ হলো সায়েন্স সেন্টার মেদিনীপুরের তিন দিন ব্যাপী "এক্সপ্লোরেশন সামার সায়েন্স ওয়ার্কসপ-২০২৫" বৃহস্পতিবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ দীপক কুমার কর এই কর্মশালায় উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও অনুষ্ঠানের সহযোগী ডঃ অর্জুন মুখোপাধ্যায়, মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ সুভাস চন্দ্র সামন্ত, সায়েন্স সেন্টারের সম্পাদক তথা মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুচাঁদ কুমার পান সহ পদার্থবিদ্য, রসায়ন ও জীববিদ্যার প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ। এই তিন দিনের শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বিষয়ের অন্তর্গত পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা ও রসায়নের হাতেকলমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।মিট দ্য সাইন্টিস্ট পর্বে স্থিতিশীল উন্নয়ন ও খনিজ সম্পদ উত্তোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের তার নতুন গবেষণা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন আই.আই.টি খড়্গপুরের মেটালার্জি ও মেটিরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডঃ দেবালয় মুখার্জি এবং ওশান ইঞ্জিনিয়ারিং ও নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগের অধ্যাপক ডঃ ঋত্বিক ঘোষাল মহাশয় জাহাজ নির্মাণগত প্রযুক্তি ও আই. এন.এস বিক্রান্ত এর আর্কিটেক্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেনসিং ও জি.আই.এস বিভাগের অধ্যাপক ডঃ জাতিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের তত্তাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়ংক্রিয় আবহাওয়া পূর্বাভাস তন্ত্র পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

এ.পি.জে আব্দুল কালাম সভাগৃহে শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজে উৎসাহী করে গবেষণায় সংকট চিন্তনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সচেতন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ জয়ন্ত কিশোর নন্দী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বিশ্বপতি জানা মহাশয়ের তত্তাবধানে ১০২ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে কম্পিউটারে বসিয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ও এ.আই অ্যাপ্লিকেশন ইন গুগল ফর্ম বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিন শিক্ষার্থীদের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে বায়োডাইভার্সিটি পরিদর্শন করানোর পাশাপাশি স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রানীদের সনাক্তকরণ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।

সমাপ্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের এই কর্মশালার শিখনগত উৎকর্ষতা ও ক্লাসরুমের চার দেওয়ালের বাইরে বিজ্ঞানচর্চার অভিজ্ঞতা বিষয়ে মতামত বিনিময় করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের হাত দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানের সমাপনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়েন্স সেন্টারের যুগ্ম সম্পাদক তথা পাঁচখুরি দেশবন্ধু হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক অনুপম রায় বলেন, আমাদের এই কর্মশালার নাম "এক্সপ্লোরেশন" রাখা হয়েছে তা এই তিন দিনে সীমাবদ্ধ থাকার জন্য নয়, শিক্ষার্থীরা এই তিন দিনে যে পদ্ধতি গুলো শিখল এবং যে বিষয় গুলো জানল তা তাদের পরবর্তী সময় নতুন বিষয় জানার আগ্রহ সঞ্চার করবে এবং আগামীতে গবেষণামুখী করে তোলার দিগন্ত উন্মোচন করবে যা সায়েন্স সেন্টারের এই কর্মশালার মূললক্ষ্য, এই উদ্দেশ্যে যে ৫৭ জন বিষয় শিক্ষক ও প্রকৌশলী প্রায় একমাস ধরে নিরলস শ্রম দিয়েছেন সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।'