লোকসভা ভোটের জন্য কোমর বেঁধে লড়াই চালাছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া ও বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল!

নিজস্ব সংবাদদাতা : টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন জুন মালিয়া। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা সর্বত্রই তিনি দাপিয়ে কাজ করেছেন ও করে চলেছেন। একই সঙ্গে তিনি মন দিয়ে রাজনীতিটাও করছেন। মডেল, অভিনেত্রী, রাজনীতিক, বিধায়ক… একই অঙ্গে বহুরূপ জুন মালিয়ার। জীবনে যেমন স্ট্রাগলের দিন দেখে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা শিখেছেন, তেমন বর্তমানে নির্বাচনী ময়দানেও দাপুটে নেত্রী হয়ে উঠেছেন জুন মালিয়া।বিধায়ক হওয়ার পর এখন এমপি হওয়ার লড়াই।স্থানীয় রাজনীতিতে যিনি জুন অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। সবটাই যেন পুনঃসম্প্রচার। স্কুটি করে ঘোরা। মন্দির, মসজিদ, গির্জায় প্রার্থনা। কোথাও কোনওকিছু এতটুকু আলাদা নয়।তাঁর জন্ম যদিও কলকাতায় হয়েছে, তিনি কিন্তু মহিষাদল রাজপরিবারের মেয়ে।এবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দিদি তাঁর কাঁধে আরও বড় গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন । রাজনীতির ময়দানে তেতেপুড়ে নিত্যদিন তাঁকে প্রচারে দেখা যাচ্ছে স্বমহিমায়। প্রকৃতপক্ষেই জীবনযুদ্ধের এক দুঃসাহসী সৈনিক জুন মালিয়া।
এদিকে বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা এবং আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।তিনি একজন প্রাক্তন সুপরিচিত ফ্যাশন ডিজাইনারও।আসানসোলের মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে থেকে এই লড়াই টা কম ছিল না। ডাক্তার বাবার মেয়ে হয়ে ওঠেন নামী ফ্যাশন ডিজাইনার। শিল্পপতি থেকে বিনোদন জগতের অনেক বিখ্যাতদের কাছেই অগ্নিমিত্রার ডিজাইনার পোশাক ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’ হয়ে ওঠে। খ্যাতি পৌঁছে যায় বলিউডেও। শুধু সিনেমার কস্টিউম ডিজাইন নয়, শ্রীদেবী থেকে মিঠুন চক্রবর্তীরা হয়ে ওঠেন অগ্নিমিত্রার পোশাকের ফ্যান। আমেরিকার প্রাক্তন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টনের গায়েও উঠেছে এই বাঙালি কন্যার ডিজাইন করা শাল।২০১৯ সালে রাজনীতিতে আসার পর থেকেই ‘ফ্যাশন’-এর থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালেই রাজ্যে মহিলা মোর্চার শীর্ষ দায়িত্বে। আর প্রথমবার নির্বাচনে নেমেই সাফল্য। এখন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গড়ে এবার পদ্মপ্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পাল। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে অগ্নিমিত্রা পালের উপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপি শিবির। এখন চলছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই দুই দিদির।