"ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছিল বলেই আমি মেসি হতে পেরেছি", বিশ্ব ফুটবলের দুই কিংবদন্তি লিয়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো!

নিজস্ব সংবাদদাতা : CR7-LM10 বর্তমানে বিশ্ব ফুটবল ভক্তদের কাছে এক আবেগের নাম। বিশ্ব ফুটবলের দুই কিংবদন্তি লিয়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ফুটবল বিশ্বকে দু’ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন। কে আগে, মেসি না রোনাল্ডো? এই তর্কে ভক্তরাও বিভক্ত। দুই তারকার ভক্তদের মধ্যে তর্কও চলে। কিন্তু ভক্তদের মধ্যে মান-অভিমান চললেও নিজের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পর্তুগিজ ষ্টার CR7কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিয়ো মেসি। একটি সাক্ষাৎকারে লিয়ো জানিয়েছেন, "ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছিল বলেই আমি মেসি হতে পেরেছি"। কিংবদন্তি রোনাল্ডোকে কৃতিত্ব দিয়ে মেসি বলেন, “আমাদের দ্বৈরথ সব সময়েই জমজমাট ছিল। যা লড়াইয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। মাঠের ভাষায় বললে বলা যায়, এটা খুবই সুন্দর একটা লড়াই। যা একে অপরকে ভালো খেলতে উৎসাহিত করেছে। রোনাল্ডো ছিল বলেই আমি মেসি হতে পেরেছি। ও খুবই লড়াকু মানসিকতার। সব সময় জিততে চায়। আমিও সেই চেষ্টাই করেছি। এটা দু’জনেই উপভোগ করতাম। ব্যালন ডি’অরের শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি বলেন,“এত বছর ধরে আমরা যা যা করে এসেছি তা অবশ্যই বড় কৃতিত্বের ব্যাপার। শীর্ষে ওঠা সহজ। কিন্তু শীর্ষস্থান ধরে রাখাটা কঠিন। আমরা কিন্তু বছরের পর বছর ধরে শীর্ষেই ছিলাম। যাঁরা ফুটবল ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে তো এটা একটা অসাধারণ স্মৃতি।” ফুটবলপ্রেমীদের কাছেও এই সময়টা খুবই উপভোগ্য।” দুই কিংবদন্তির গোলের সংখ্যা হিসেবে করলে গোলের নিরিখে মেসির (৮৬০) থেকে এগিয়ে রোনাল্ডো (৯৩৪)। আবার অ্যাসিস্ট এর ক্ষেত্রে মেসি(৩৮১) রোনাল্ডো (২৫৭) কে টপকেছেন। কেরিয়ারে ট্রফির সংখ্যা রোনাল্ডোর ৩৫টি। অন্যদিকে মেসির কেরিয়ারে ট্রফির সংখ্যা ৪৬টি। এক্সট্রা পাওনা বলতে ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছেন মেসি। কিন্তু পর্তুগালের হয়ে এখনও বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ হয়নি রোনাল্ডোর। বর্তমানে আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলেন লিও মেসি। আর সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে খেলেন রোনাল্ডো। এই দুই তারকার মুখোমুখি খেলা দেখার জন্য গোটা ফুটবলবিশ্ব অপেক্ষা করে। কিন্তু বর্তমানে সেই আসা ক্ষীণ প্রায়। এক মাত্র উপায় ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। যদি তাঁরা পরের বিশ্বকাপ খেলেন সেখানেই দুই তারকাকে পরস্পরের মুখোমুখি মাঠে নামতে দেখা যাবে।