আগামী তিন দিনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্যত্র বাহিনী রাখা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রকে বার্তা আদালতের!
নিজস্ব সংবাদদাতা : লোকসভা ভোটের পর বাংলার নানা জায়গায় পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বাহিনী দখল করে রেখেছে। এই মঙ্গলবার পর্যন্ত বাহিনী রাখা হবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে উচ্চ আদালত জানায়, সেই সময়সীমা আরও বেড়ে আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত বাহিনী থাকবে। এমতাবস্থায় রাজ্যের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘দখল করে রেখেছে’ বলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য, অনেক স্কুল, কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার বন্দোবস্ত করার ফলে পড়াশোনাই শুরু করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি সওয়াল করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার দায়িত্ব রাজ্যের। মূলত এখন ২৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাহিনী রয়েছে। অন্য দিকে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি উঠে গিয়েছে। এখন কেন রাজ্য বাহিনী রাখার দায়িত্ব নেবে? কেন্দ্রের উচিত তাদের কোনও জায়গায় বাহিনী রাখা।’’ উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর বিচারপতি টন্ডনের মন্তব্য, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্রের মতাদর্শ আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু শিশুদের কোনও মতাদর্শ নেই। তাদের শিক্ষার কথা আগে চিন্তা করতে হবে। দু’জনেই সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে এমন জিনিস করা যাবে না। আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। বাহিনী রাখার বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে।