ঘরের মাঠে স্বপ্নভঙ্গ জার্মানির!
স্পেন: ২ (ওলমো ৫১’, মেরিনো ১১৯’)
জার্মানি: ১ (উইর্টজ ৮৯’)
নিজস্ব সংবাদদাতা : ম্যাচে শেষ মিনিটের গোলে জার্মানিকে ২-১ এ হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে স্পেন। শুক্রবার রাতে স্টুডগার্টে ম্যাচের ১১৯ মিনিটে গোল করে তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের জেতালেন মিকেল মেরিনো। ড্যানি ওলমোর নিখুঁত ক্রস থেকে স্পট জাম্পে দুর্দান্ত হেড। পেড্রির পরিবর্তে নেমে গোল করলেন এবং করালেন ওলমো। দেশের জার্সিতে পরিবর্ত ফুটবলার মেরিনোর এটা দ্বিতীয় গোল। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের পরতে পরতে নাটক। ৮৯ মিনিটে সমতা ফেরায় জার্মানি। আবার ১১৯ মিনিটে জয়সূচক গোল স্পেনের। আদর্শ কোয়ার্টার ফাইনাল। চলতি ইউরোর সেরা ম্যাচ। যেকোনও দলই জিততে পারত। তবে সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল জার্মানিকে। অতিরিক্ত সময় হ্যাভার্টজ সিটার মিস না করলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। শেষপর্যন্ত ৩৬ বছরের খরা কাটাতে পারল না জার্মানি। ম্যাচের তখন ৮৯ মিনিট। জয়ের প্রহর গুনতে শুরু করেছে স্পেন। ঠিক সেই সময় স্বপ্নভঙ্গ। জার্মানিকে ম্যাচে ফেরান ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। জার্মানির সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে ইউরোর নকআউটে গোলের রেকর্ড করেন। জয়সূচক গোল করারও সুযোগ এসেছিল জার্মান তরুণের সামনে। কিন্তু নিশ্চিত গোল মিস করেন। সামনে সাইমনকে একা পেয়েও বাইরে মারেন উইর্টজ। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে কুকুরেল্লার হাতে বল লাগলেও জার্মানির পেনাল্টির দাবিতে কর্ণপাত করেনি রেফারি। নব্বই মিনিট ১-১ থাকার পর ১০৫ মিনিটের শেষেও গোললাইন একই ছিল। অন্তিমলগ্নে পার্থক্য গড়ে দেন মিকেল মেরিনো। নির্ধারিত সময় দুই দলের মধ্যে পার্থক্য উনিশ বিশ। পেন্ডুলামের মতো দুই অর্ধে আক্রমণ শিফট করে। দু'দলই গোলের একাধিক সুযোগ পায়। ৯০ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচটা শেষ করে ফেলতে পারত লুই দে লা ফুয়েন্তের দল। জামাল, মোরাতা, উইলিয়ামসের আক্রমণের দাপটে বেশ কয়েকবার বিপাকে পড়ে যায় আয়োজক দেশ। তবে লামিনে জামালকে কেন ৬২ মিনিটের মাথায় তুলে নিলেন স্পেনিশ কোচ সেটা বোধগম্য হল না। এটা বরং কিছুটা সুবিধা করে দেয় জুলিয়ান নাগেলসম্যানের দলকে। ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর দাপট বেশি ছিল জার্মানির। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। গোলের নীচে কয়েকটা দারুণ সেভ করেন স্পেনের কিপার সাইমন।