ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে, চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলারও !
নিজস্ব সংবাদদাতা : এক দিকে তীব্র দাবদাহ তারই সাথে সাথে তীব্র জল কষ্টে ভুগছে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম ব্যস্ত শহর বেঙ্গালুরু। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে পুরসভার জলের গাড়ি। শুধুমাত্র কয়েক বালতি জলই সারাদিনের প্রয়োজন মেটানোর সম্বল। হাহাকার এতটাই। বেঙ্গালুরুর মতো একই অবস্থা ভারতের একাধিক শহর ও গ্রামের। আমাদের পশ্চিমবঙ্গও সেই তালিকায় নিজের উপস্থিতি জানাচ্ছে। কারণ, আমাদের জলের মূল উৎস ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। এদিকে জলের চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পানীয় জল থেকে চাষের জল সর্বত্রই ব্যবহার হচ্ছে এই ভূগর্ভস্ত জল। ইকোসিস্টেম বলে মাটির নিচ থেকে জল উঠবে, বৃষ্টি হলে জল আবার মাটির নিচে চলে যাবে। আর তাতেই মাটির নিচে জলের পরিমাণ বেড়ে যাবে। কিন্তু, এই সাধারণ ভাবনা আর খাটছে না। কারণ প্রথমত, বৃষ্টিও তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। কোথাও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে না কোথাও আবার ব্যাপক বৃষ্টি। এর সঙ্গে আছে অপরিকল্পিত নগরায়ন। দেশের প্রায় প্রতিটি শহর কংক্রিটের জঙ্গলে ভরে উঠেছে। কংক্রিটের সেই স্তর পার করে মাটির নিচে পৌঁছাতেই পারছে না। তাই আমাদের দ্রুত সচেতন হতে হবে।
এদিকে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে মোট যে পরিমাণ জল আছে তার ৯৭ শতাংশ লবণাক্ত, ব্যবহারের অযোগ্য। ২ শতাংশ জল বরফ হিসাবে জমাট অবস্থায় রয়েছে। বাকি ১ শতাংশ আমাদের ব্যবহারের যোগ্য। পরিসংখ্য়ান বলছে ১৯৪৭ সালে মানুষের ব্যবহারের জন্য যে পরিমাণ জল ছিল এখন তা ৭৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। আগামীতে সেটা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মাটির নিচে জলের পরিমাণ ক্রমাগত কমেই চলেছে। এটা কিন্তু ওই ১ শতাংশ জল। যা ব্যবহারের যোগ্য। তাতেই ভাটা পড়ায় বাড়ছে চিন্তা। কলকাতা তথা তার আশেপাশের জলস্তর কমার আসল কারণ কিন্তু এটাই।