ঘাটাল হাসপাতালের মাতৃ-কুটির পরিদর্শন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : মঙ্গলবার গত সাত দিনে ঘাটাল এবং পার্শবর্তী বন্যা কবলিত এলাকার ৩৬২ জন গর্ভবতী মহিলাদের পুলিশ, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের 'মাতৃ-কুটির' -এ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে ২৪৫ জন গর্ভবতী মহিলা সুস্থ্য সন্তান প্রসব করেছেন এবং বাকিদেরও নির্দিষ্ট সময়ে প্রসবের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. সৌম শঙ্কর সারেঙ্গী সহ পুলিশ, স্বাস্থ্য এবং প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ ঘাটাল মহকুমা এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বন্যা কবলিত ঘাটাল সহ পাশবর্তী এলাকাগুলি থেকে প্রশাসনের দ্বারা উদ্ধার করে আনা গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলাদের সুচিকিৎসার জন্য নির্মিত 'মাতৃ-কুটির' পরিদর্শন করেন এবং সুব্যবস্থা বন্দোবস্তের পর্যবেক্ষণ করেন। মাদার হাব ও মাতৃত্ব বিভাগে ভর্তি হওয়া ১১২ জন মহিলাকে শাড়ি বিতরণ করা হয়। এছাড়া পাঁচজন নবজাতকের মাকে ফলমূল ও বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করা হয়। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে, বিভিন্ন বন্যাপ্রবণ এলাকার ১১২ জন গর্ভবতী মা বন্যার পানিতে চলাচলের পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কেউকেউ ট্র্যাক্টর থেকে আহত হয়েছেন, অন্যদের সিভিলডিফেন্সএবং এসডিআরএফ বোটগুলি উদ্ধার করেছে এবং গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছেছে ।আশা কর্মী, ডাক্তার, সিভিলডিফেন্সের কর্মীরা এবংপ্রশাসন সকলেই কার্যকরভাবে সহযোগিতা করেছেন, নিশ্চিত করেছেন যে প্রত্যেকেরই আজ তাদের নবজাতকদের দেখার সুযোগ রয়েছে।  এছাড়া বিগত কয়েক দিনে জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে ১২৯ জন মানুষকে বিষধর সাপে কামড়ায়, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর -এর দ্রুততা ও তৎপরতার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে কোনো জীবনহানি ঘটেনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবার এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ১২৯ জন মানুষকে সাপে কেটেছে। এর মধ্যে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯ জন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৬৭ জন খড়গপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১৩ জন, অন্যান্যরা বেলদা, ডেবরা এবং অন্য রুরাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এই এতজন সাপে কাটা রোগীর কেউই মারা যাননি। এবার ঘাটালে চালু হয়েছে ডায়ালিসিস, অনেক সাপে কাটা রোগীকে ডায়ালিসিস করাতে হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক সাপও উদ্ধার করা হয়েছে, ঘাস্টালের দুই পরিবেশকর্মী মলয় ঘোষ এবং জাহাঙ্গীর মন্ডল দুজনেই প্রতিদিন একাধিক সাপ উদ্ধার করে চলেছেন।