রেকর্ড বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা কলকাতা!

কৌস্তভ মজুমদার : সোমবার রাত্রি থেকে বৃষ্টি শুরু। একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে মঙ্গলবার সকালেও। কয়েকঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে শহর। উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ কলকাতা একপ্রকার জলের তলায়। জলমগ্ন গোটা সল্টলেক চত্বর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাও। মঙ্গলবার শহরের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে, মানিকতলা থেকে মুদিয়ালি, সর্বত্র কোমর জল। ডুবে গিয়েছে রাস্তা-ঘাট। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি, অটো জলের তলায়। লাইনে জল জমে গিয়ে ব্যাহত ট্রেন, মেট্রো চলাচল। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শহরবাসী মনে করতে পারছেন না, প্রতি বর্ষায় কম বেশি জলযন্ত্রণা হলেও, শেষ কবে এই পরিমাণ বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে শহর। 

জলমগ্ন কলেজ স্ট্রীট

১৯৭৮-এর বন্যা পরিস্থিতির কথা খোদ মেয়রের গলাতেও। শহরে জল বাড়ার পর থেকেই সর্বক্ষণ নজর রাখছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুমে সকাল থেকে রয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মেয়র পারিষদ তারক সিং।

জলমগ্ন কলেজ স্ট্রীট
ম্যাডক্স স্কোয়ার দূর্গাপুজো 
জমে থাকা জল বের করার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় জল পাম্প বসানো হয়েছে
জলমগ্ন কলেজ স্ট্রীট
জলমগ্ন কলেজ স্ট্রীট
কসবা, কলকাতা

কলকাতার জল নামানোর গোটা প্রক্রিয়া নজরদারির জন্য তাঁরা কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতায় যে পরিমাণ জল জমেছে, তা নিয়ন্ত্রণ করে আগের পরিস্থিতিতে শহরকে ফিরিয়ে আনতে লাগতে পারে বেশ কয়েকঘণ্টা। সব ঠিক করতে রাত হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি আশঙ্কা রয়েছে গঙ্গার আসন্ন বান নিয়ে। এদিন বিপুল বৃষ্টির পর লকগেট খুলে দেওয়া হলেও, লাভ হয়নি তাতে। গঙ্গা থেকে জল উলটে উপচে ঢুকে পড়েছে শহরে।  পাশাপাশি এদিন দুপুর-বিকেলে গঙ্গায় বান আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তখন লকগেট খোলা থাকলে বিপদ বাড়বে। শহরে একাধিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনার পর, মেয়র পরামর্শ দিয়েছেন একান্ত প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে না বেরনোর।