বহু প্রতীক্ষিত পুরুলিয়া- বাঁকুড়া- হাওড়া (ভায়া মসাগ্রাম ) নতুন মেমু ট্রেন পরিষেবা রেল যাত্রার শুভ সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী!
সমীরণ ভৌমিক : ২৮শে জুন, শনিবার বহু প্রতীক্ষিত পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-হাওড়া (ভায়া মসাগ্রাম) নতুন মেমু ট্রেন পরিষেবার শুভ উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব । অসম্ভবকে সম্ভব করার আরেকটি নাম হলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই মুহূর্তে, মহান পুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী 'যখন তুমি জীবনে আসবে, চিহ্ন রেখে যাও'-এর অমৃত।
আমাদের ভারতীয় রেলের গর্ব, আমাদের ভারতের গর্ব, কলকাতার গঙ্গার তলদেশে একের পর এক উন্নয়নমূলক, গঠনমূলক রেল, ইলেকট্রনিক্স, আইটি, মেট্রো রেল পরিষেবা, যা চিরস্মরণীয়। তাঁর নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং উপলব্ধি আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান বিশ্বমানব স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণীয় বাণী আমাদের মনে করিয়ে দেয় এবং ভাবতে বাধ্য করে 'টাকা গুরুত্বপূর্ণ নয়, জ্ঞান নয়, নাম নয়, খ্যাতি নয়, ভালোবাসা দিয়েই সবকিছু করা হয়। ভালোবাসা দিয়েই পৃথিবী জয় করা যায়'। সত্যিই, 'ভারতীয় রেলওয়ের' প্রতি তাঁর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মানবকল্যাণের জন্য তাঁর সৎ প্রচেষ্টা এক অবিস্মরণীয়, অবিশ্বাস্য অবদান। আজ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ এবং ভারতীয় রেল এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল। রেলমন্ত্রী মাননীয় শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মহাশয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সাঁতরাগাছি রেলওয়ে স্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান, হাওড়া জেলার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্র, মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজারপি উদয় কুমার রেড্ডি এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের ডিআর এম.কে.আর চৌধুরী,রাজ্যের একাধিক বিধায়ক ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। রেলমন্ত্রী বলেন, এই পরিষেবা শুধু যাতায়াত নয়, বাঁকুড়া-দামোদর রেলপথের ঐতিহ্যকেও পুনরুজ্জীবিত করবে।
পাশাপাশি এদিন রেলমন্ত্রী সাঁতরাগাছি স্টেশনে ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প’-এর অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের ১০১টি স্টেশনে উন্নয়ন কাজ চলছে। রেল সূত্রে খবর, এই পরিষেবার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ ও রেল যাত্রীরা। রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা শুধু যাতায়াতের নয়, বরং রাজ্যের অর্থনৈতিক এবং পর্যটন ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।