খড়্গপুর আই আইটির সহযোগিতায় দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরি করবে উইভিলস!
খড়্গপুর অরিন্দম চক্রবর্তী: আজকাল ড্রোনের ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুবই বেড়ে গেছে। বর্তমানে ড্রন তৈরির ক্ষেত্রে নতুন টেকনোলজির প্রয়োজন অনুভব করছেন এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা। ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক জিনিস চীনের মত দেশ থেকে আনতে হয়। উইভিলস দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরি করে ভারতবাসীকে তাক লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। সফটওয়্যার এর সাথে বিজনেস মডেল কিভাবে ড্রোনকে হিউম্যানিটি সার্ভিসের জন্য গ্রামের তথা শহরাঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিদিন দরকারি কাজে এতে সাহায্য করতে পারে তার বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এ ড্রোন জনগণের সামনে আনতে চলেছে। ১১ই ফেব্রুয়ারি খড়্গপুর আইআইটির সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এন্টারপ্রেনাস পার্ক স্টেপ রুম নম্বর থ্রি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক তথা খড়্গপুর আই আইটির স্টেপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর খনীন্দ্র পাঠক । তিনি বলেন আইআইটির স্টেপ এর মত পুরনো সংস্থা যা কিনা ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের অভিজ্ঞ অধ্যাপকরা উইভিলসের দক্ষ অধ্যাপক ও রিসার্চ করার পড়ুয়াদের সাথে সংযোগ করে কিভাবে ড্রোন তৈরি আরো আধুনিক করা যায় তার পরীক্ষার নিরীক্ষা করছেন। আজকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ সরকার, এছাড়া ছিলেন পলাশ পাল, নরেন্দ্র দাস, দেবাশীষ পাল, প্রসূন পাল ও ইন্দ্রানী ব্যানার্জি প্রমুখ। মূলত ইউভি ড্রোন বানাবার পরিকল্পনা রয়েছে এখানে।
প্রযুক্তিগত ব্যাপারে আইআইটির সাহায্য পাব তাই ড্রোনের কার্য পদ্ধতিগত সমাধানের জন্য এই জায়গাকে বেছে নিয়েছি বলে অধ্যাপক পাঠক বলেন। তিনি আরো বলেন আমরা গান্ধীজীর আদর্শকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এই ড্রোন তৈরি করব। এ ড্রোন মূলত মিলিটারিতে বেশি ব্যবহৃত হবে। এছাড়া কৃষিকাজে ও আগুন নেভাতে ব্যবহৃত হবে। ড্রোনগুলি মূলত পেট্রোল, মিঠানন ও ব্যাটারীতে চলবে অর্থাৎ কি কাজে ড্রনগুলি লাগছে তার ওপর নির্ভর করে জ্বালানি ব্যবহৃত হবে। উইভিলস ড্রোন্সের সি ই ও আশীষ সাহা বলেন-আমাদের ড্রোনের বিশেষত্ব হল প্রথমত দাম কম, দ্বিতীয়তঃ দেশে বানানো, তৃতীয়তঃ ডিফেন্সের বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ড্রোন ১০০ শতাংশ সাহায্য করবে। মহাত্মা গান্ধীর স্বদেশী যুগের স্বপ্ন আমরা দেশীয় প্রযুক্তি ড্রোন নির্মাণ করে তা দেখাবো।
তিনি বলেন ইতিপূর্বে খড়্গপুর আইআইটি এবং কলকাতার বাশদ্রোনিতে দুটি ওয়ার্কশপ হয়েছে। গর্বের সাথে আশীষ বাবু বলেন আমরা প্ল্যান করেছি, কিছু যন্ত্রাংশ চীন থেকে না এনে জার্মানি ইউএসএ ইনফর্ম করে আমদানি করব। ভবিষ্যতে এই আমদানি বন্ধ করে খড়্গপুর আইআইটির সাথে কোলাবরেশন করে সমস্ত পার্টসগুলো নিজেরাই বানাবো। যেমন ডাউন ও আপস্ট্রিম সফটওয়্যার রিলেটেড পার্টস গুলি বানাবো। তিনি বলেন আপাতত বেসিক দু'রকম ড্রোন বালসা কাঠ ও কম্পোজিটস মেটেরিয়ালস ফাইবার ও গ্লাস অপটিক্স দিয়ে বানাবো। এখানে বালসা কাঠের ড্রোন তৈরি হবে। স্বল্প মূল্যে ভালো মানের ড্রোন আমরা প্রথম বানাবে বলে তিনি দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন। ইতিপূর্বে কলকাতার রেড রোডের মেলেটারি ক্যাম্পেও উইভিলসের ড্রোন নেয়ার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা মূলক ভাবে ওখানে ২৬ শে জানুয়ারি এ ড্রোনের সাহায্যে আগত অতিথিদের উপর ফুল বর্ষণ হয়েছে।