উপনির্বাচনে ছয়ে ছক্কা তৃণমূলের, হাড়োয়ায় জামানত জব্দ গেরুয়া শিবিরের!

নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৩নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলার ছ'টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। ১৩ বছর হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে। তারপর থেকে প্রতিবারের ভোটে (২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন বাদে) তৃণমূলের দাপট আরও বেড়েছে। সংখ্যায়, ভোটের শতাংশেও বিরোধীদের বহু যোজন পিছনে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রাজ্যের ছ'টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হল৷ কোচবিহারের সিতাই আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটিতে। ৬টির মধ্যে মাদারিহাট ছাড়া বাকি পাঁচটি বিধানসভা ছিল তৃণমূলের দখলে ৷ একটি ছিল বিজেপি'র ৷ আরজি কর-কাণ্ডের পর তৃণমূল কি তাদের আসন ধরে রাখতে পারবে এটাই ছিল বড় প্রশ্ন ? অবশেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের গতিধারা কি মানুষ সমর্থন করে উপনির্বাচনের ছটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করিয়েছে। অন্যদিকে উপনির্বাচনে বিজেপি দলের জামানত জব্দ হয়েছে। এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য বক্তব্য, উপনির্বাচনের এই ছ’টি আসন নিয়ে তাঁরা ভাবেননি। তাঁদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেই উদ্দেশ্যেই দলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন দুই প্রয়োজনীয়তার কথা। ‘নির্বাচনমুখী সংগঠন’ এবং ‘আন্দোলনমুখী মোর্চা’র কথা। হাড়োয়া সম্পর্কে বলেন, “হাড়োয়ায় আমরা কোনও দিনই জিতিনি। ভবিষ্যতেও জিতব না।” কেন এ কথা মনে করছেন, সেই ব্যাখ্যাও তিনি দেন। উপনির্বাচন কে নিয়ে তারই সাথে সাথে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে বিরোধী দলনেতার। অভিযোগ, তার মধ্যে অন্যতম দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছে ভোটের আগে থেকেই।