মাত্র দেড় বছরের পুরোনো,হাউস ফর অল প্রকল্পের বাড়ির কার্নিশ ভেঙ্গে পড়লো!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুর এলাকার।মাত্র দেড় বছরের হাউস ফর অল প্রকল্পের বাড়ির ভেঙ্গে পড়লো দরজার মাথার উপরের কার্নিশ।এলাকার বাসিন্দা সেখ মুকসেদ অভিযোগ করেন গত দেড় বছর আগে তার নামে পাওয়া হাউস ফর অল এর এই বাড়ির দরজার ওপরের কার্নিশ ভেঙ্গে পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যায় এক শিশু। বারে বারে কাউন্সিলারকে জানানো সত্বেও কোন পদক্ষেপ নেননি কাউন্সিলার। সরকারি স্কিমের তৈরি বাড়ির অবস্থা বেহাল। পাশাপাশি সাত বছর ধরে নেই বাড়িটিতে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। কাউন্সিলার এর দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি কোন সাহায্য। সেখ মুকসেদ এবং তার স্ত্রী আর্জু বিবি অভিযোগ করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলার অর্পিতা নায়েকের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ গত দুমাস ধরে কাউন্সিলারকে জানানো সত্বেও বাড়ির কার্নিশ মেরামত করা হয়নি। যার ফলে কার্নিশ ভেঙে পড়ে। শুধু একটি নয়, বাড়ির দুটি কার্নিশ ভেঙেছে দেড় বছর আগে তৈরি করা এই হাউস ফোর অল প্রকল্পের বাড়িটি। পাশাপাশি বাড়িটিতে প্লাস্টার হয়নি, বানিয়ে দেওয়া হয়নি কোন শৌচাগারও। হাউস ফর অলের বাড়িটি কাউন্সিলার তার পছন্দ মতন ঠিকাদার দিয়ে বানিয়েছেন, যার গুণগতমান একদমই খারাপ। গত সাত বছর আগে ইলেকট্রিকের বিল না দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে। এরপর সেই বিল মিটিয়ে নতুন করে বিদ্যুতের কানেকশন পেতে চাইলে বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে কাউন্সিলার এর স্বাক্ষর আনতে বলা হয়। অভিযোগ কাউন্সিলার স্বাক্ষর করেননি এবং মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের দিকে বিষয়টি ঠেলে দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যানের কাছেও যাওয়া হয়েছিল বলে জানান আর্জু বিবি। এভাবেই সাত বছর ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে তাদের বাড়ি। বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, আমাদের কাছে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। ইলেকট্রিক বিল না দিলে বিদ্যুৎ তো কেটে দেবেই।কোন অভিযোগ আসেনি তাই কিছু বলতে পারব না।এখন দেখবার বিষয়,মেদিনীপুর পৌরসভা আদেও কি এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায়? নাকি আতঙ্কের মধ্যেই অন্ধকারে জীবন কাটাতে হবে এই পরিবারটিকে? সরকারের প্রকল্পের টাকা দিয়ে হাউস ফোর অল বাড়ি তৈরি হচ্ছে গরিব মানুষদের। আর তাতে এইভাবে অযোগ্য বাড়ি তৈরি করে গরিব মানুষকে বঞ্চিত করছে এই কিছু খাতা কলমের পছন্দমত কন্ট্রাক্টর গুলোকে দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই প্রকল্পের বাড়ি।