নিজস্ব সংবাদদাতা: শুরু হচ্ছে ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।সল্টলেকের করুণাময়ীতে অনুষ্ঠিত ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক স্টল রয়েছে, যা ১,০০০ এর কিছু বেশি। সবচেয়ে বড়টি তৈরি হয়েছে করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে, যা মেলার পাশে অবস্থিত। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে বলেন দর্শনার্থীরা তাদের ফিরতি যাত্রার জন্য যে রুটগুলি নিতে চান সেগুলিতে বাসটি দেখতে সাহায্য করার জন্য ফুটপাতের ধারে ছোট ছোট কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এবারের লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন মনোজ মিত্রের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। এবার কলকাতা বইমেলায় গতবারের মতো ১০০০টি স্টল আছে । তার মধ্যে থাকছে ছোট, বড় ও মাঝারি প্রকাশক এবং লিটল ম্যাগাজিন টেবিল। মেলায় ৯টি গেট । এই নয়টি গেটের প্রতিটি দিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে ঢোকা ও বেরোনো যাবে। যেহেতু এবারের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ফোকাল থিম ‘কান্ট্রি জার্মানি’, সেহেতু সেজন্য জার্মানি সাহিত্যিক গ্যোয়েটের নামে একটি গেটের নামকরণ করা হচ্ছে। আর একটি গেটের নামকরণ করা হচ্ছে জার্মান ভাষাবিদ মাক্সমুলারের নামে। এবারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খবর হল, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার একটি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে। এই অ্যাপ থেকে বইমেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। গুগল লোকেশন অনুযায়ী খুঁজে পাওয়া যাবে পাঠকদের পছন্দের নির্দিষ্ট স্টল। পরিবহন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “রাতে রাজ্য বাসের প্রাপ্যতা নিয়ে অভিযোগকারী বইপ্রেমীদের চাহিদা পূরণের জন্য বিশেষ রুটে বেশ কয়েকটি শাটল বাস পরিচালনা করা হচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দু’টি রবিবার পড়েছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে দুই রবিবারও মেট্রো চালানো হবে।সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াতের জন্য এই মুহূর্তে সব থেকে সুবিধার পথ মেট্রোরেল। শিয়ালদহ থেকে উঠে করুণাময়ী স্টেশনে নামলেই বইমেলা প্রাঙ্গণ। সে কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।আগের বছরগুলোর তুলনায়, মোবাইল সংযোগ উন্নত হয়েছে। কল ড্রপের সংখ্যা কম হওয়ার ফলে কাউকে ফোন করা এবং পছন্দের বইয়ের দোকান খুঁজে পাওয়া সহজ হয়েছে।গিল্ড এমন ব্যবস্থা করেছে যেখানে বইপ্রেমীরা স্টলের লেআউট খুঁজে পেতে অ্যাকোড স্ক্যান করতে পারবেন।সবমিলিয়ে, শুধু অতিরিক্ত বাস চালানোই নয়, সুষ্ঠুভাবে বইমেলার ১৩ দিন ধরে যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্য প্রস্তুত দপ্তরের কর্মী, আধিকারিকরা।