Skip to content

৯ই জুন স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বিরসা মুন্ডা'র প্রয়াণ দিবস!

নিজস্ব সংবাদাতা :  আদিবাসী সমাজের কাছে তিনি বিরসা ভগবান বলে পরিচিত। অবিভক্ত ভারতে আদিবাসী সমাজকে ব্রিটিশদের নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই বিরসা মুন্ডা। ৯ জুন মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন এই মহান মানুষ। কিন্তু বিরসা মুন্ডা যেই জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়েছিলেন, তার গুরুত্ব নেহাৎ কম নয়। তাই আজ পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, কর্ণাটকের আদিবাসী সমাজের অনেক মানুষ শ্রদ্ধার সাথে তাঁর কথা স্মরণ করেন।জমির লড়াই বড় কঠিন লড়াই! অবিভক্ত ভারতে, সুদীর্ঘ জঙ্গলমহলের দিকে নজর ছিল ব্রিটিশের। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই দীর্ঘ জঙ্গল আগলে রাখত স্রেফ আদিবাসীরা, যারা শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিল এবং রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ থেকে শত হস্ত দূরে ছিলেন।

কিন্তু তাদের এই সারল্যই হয়তো তাদের দুর্বলতা ছিল। স্রেফ তীর ধনুক দিয়ে কি ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করা যেতে পারে? এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন বিরসা মুন্ডা। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অন্যতম উপজাতীয় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন তরুণ বিরসা মুন্ডা। তাঁর লক্ষ্য ছিল রাঁচির দক্ষিণাঞ্চলে স্বাধীন মুন্ডা রাজ প্রতিষ্ঠা। তবে এটা ঠিক যে ব্রিটিশরা আসার আগে থেকেই মুন্ডা জনজাতির জমি কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। অ-উপজাতীয়দের আনাগোনা বৃদ্ধি এবং বলপূর্বক জমি দখল আদিবাসী সমাজকে ক্ষিপ্ত করে তোলে। সেখান থেকেই তৈরি হয় ‘উলগুলান’-এর পটভূমি, যার অর্থ বিক্ষোভ। এই আন্দোলনের আতঙ্কে ব্রিটিশ সরকার বিরসা মুন্ডাকে গ্রেপ্তার করে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে, ১৯০০ সালের ৯ জুন, রাঁচির কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে আজও নানা রহস্য ও প্রশ্ন রয়ে গেছে। জয় জোহার,ভগবান বিরসা মুন্ডা অমর থাকুন আমাদের হৃদয়ে ও ইতিহাসে।

Latest