Skip to content

১১ বছরের আইনি লড়াই শেষে ন্যায়ের স্বীকৃতি,জেলা আইনি পরিষেবার সহায়তায় জয়ী বিধবা মহিলা!

1 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক, পশ্চিম মেদিনীপুর: বিয়ে হওয়ার পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন সন্তান না হওয়ার কারণে ছেলে এবং বৌমাকে নানা কারণে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে। সমস্ত পারিবারিক যৌথ ব্যবসা থেকে আলাদা করে দেওয়া, এছাড়াও স্বামীর পিতাকে দিয়ে স্বামীর জীবদ্দশায় অল্প কিছু সম্পত্তি এই ভাবে প্রদান করানো হয় যাতে তাদের সারাজীবন অনাহারে অসুস্থ হয়ে থাকতে হয়। এই মানসিক অত্যাচার দিনের পর দিন করে স্বামীকে বাধ্য করা হয় সুইসাইড করতে এবং তারপর থেকে বিধবা স্ত্রীর প্রতি অবহেলা ও অত্যাচার চরম মাত্রা নেয় এবং এই অবহেলা, অত্যাচার করে ২০২১ সালে বিধবা স্ত্রী কে তার স্বামী ঘর থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, এছাড়া স্বামীর নামিত সম্পত্তিও যাতে না থাকতে পারে তার জন্যও শুরু হয় অত্যাচার, এই অবস্থায় ২০১৪ সালে বিধবা স্ত্রী Social Welfare দপ্তরের প্রটেকশন অফিসারের কাছে সুরক্ষার প্রতিকার প্রার্থনা করে। উক্ত প্রার্থনা মতো শুনানি হলে বিধবা মহিলার স্বামীর বাড়ির লোকজন কোনোরূপ সাড়া দেয়নি, তখন উক্ত মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হয় কিন্তু সেখানেও বিচার পেতে বহু সময় ও অর্থ ব‍্যয় হওয়ায় উক্ত বিধবা মহিলা বিচার পাওয়ার জন্য বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে তখন পার্শ্ব আইনি সহায়ক (PLV) পিংকি দাস এবং সুমঙ্গল মুখার্জির সহায়তায় মেদিনীপুর আদালতের জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থিত হয়ে সাহায্য চায় এবং সেখানে তৎকালীন সচিব দিব্যেন্দু নাথ এবং বর্তমান মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব শাহিদ পারভেজের সহায়তায় আইনজীবী অংকুর কর্মকারের পরিচালনায় মেদিনীপুর আদালতের বিচারক নীলাঞ্জন পালধী ৫ নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়ে এই বিধবা অবহেলিত অত‍্যাচারিত স্ত্রীকে প্রতিকার প্রদান করেছেন। এটা বর্তমান সমাজে একটা দৃষ্টান্ত কারী রায় ।

Latest