পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী: ঝাড়খন্ডের ঘাটশিলায় মাওবাদী নাশকতার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে ধৃত চন্দনা সিং ওরফে শোভা মুন্ডা বৃহস্পতিবার বেকসুর খালাস হলেন ওই মামলায়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে রওনা দিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। যদিও তার নামে মোট আটটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বাকি আরো সাতটি মামলা এখনো বিচারাধীন। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির মাজুগোড়া গ্রামের বাসিন্দা চন্দনা সিং ওরফে শোভা মান্ডি মাত্র ১২ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছিলেন। তারপর থেকে তিনি মাওবাদীদের সঙ্গে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলায় মাওবাদী নাশকতার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে চাকুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১০ সালে তার যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়াও ঝাড়্গ্রামে বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন শোভা মুন্ডা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকখানি খুশি তিনি। তবে ভবিষ্যতে তিনি কিভাবে জীবন অতিবাহিত করবেন তা নিয়ে এখনই কিছু মন্তব্য করতে চাননি তিনি। অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যা জয়শ্রী সরকার সহ আরো বেশকিছু মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য এদিন উপস্থিত ছিলেন শোভা মুন্ডার মুক্তিক্ষণে। জয়শ্রী সরকার জানান, ১৫ বছর ধরে সংশোধনাগারে থাকাকালীন ঘাটশিলার মাওবাদী নাশকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যে মামলা চলছিল, তার বিচার ২০২২ সাল থেকে পেন্ডিং অবস্থায় পড়েছিল। অবশেষে ঝাড়খন্ড উচ্চ আদালতে নির্দেশে সেই মামলা থেকে মুক্তি পান শোভা মুন্ডা।