পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে ত্রুটিযুক্ত স্যালাইনের ফলে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পরেই কিন্তু মাতৃমা বিভগের চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। মাতৃমা বিভাগে ভর্তি প্রসূতিদের জন্য বাইরে থেকে স্যালাইন ও বিভিন্ন ইনজেকশন কিনে আনতে হচ্ছে পরিবার পরিজনদের। সেরকমই চিত্র উঠে এলো মেদিনীপুর মেডিক্যালে। হাতে স্যালাইনের বোতল। সঙ্গে কাগজের টুকরো তাতে লেখা স্যালাইনের নাম। রোগীর পরিবার-পরিজনদেরকে স্যালাইন নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালের মধ্যে ঢুকতে দেখা গেল। চিকিৎসকেরাই নাকি ছোট কাগজে ওষুধ বা স্যালাইনের নাম লিখে দিচ্ছেন রোগীর পরিবারের পরীজনদের কে। বাইরে থেকে ওষুধ বা স্যালাইন কিনে আনার কথা বলছেন। অর্থাৎ হাসপাতালের স্টকে থাকা ওষুধ বা স্যালাইন রোগীদের দিতে চাইছেন না চিকিৎসকেরা। রোগীর পরিবারদের দাবি, হাসপাতালের ওষুধ এবং স্যালাইন যদি রোগীকে দেওয়া হয় তবে রোগীর পরিবারকে 'ছাড়পত্র' দিতে হবে। লিখে দিতে হবে কাগজে নো অবজেকশন অর্থাৎ, ওষুধ বা স্যালাইন ব্যবহারের পর রোগীর কিছু হলে তার দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নয়! তবে অনেক রোগীর পরিবারই নো অবজেকশন লিখে দিতে রাজি নয়। বাইরে থেকেই স্যালাইন বা ওযুধ কিনে দিচ্ছেন রোগীর পরিবারের পরিজনরা ।