Skip to content

মেদিনীপুর শহরের চার্চ স্কুলের মাঠে স্বাধীনতা দিবসের দিনে ফুটবল টুর্নামেন্ট মধ্যে রেফারিকে মারধর করার অভিযোগ!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর শহরের চার্চ স্কুলের মাঠে স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় চলছিল ওল্ড প্রদীপ সংঘ ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী ডে নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টেই একটি খেলার মাঝে গোল নিয়ে বাঁধে গোলমাল। টুর্নামেন্টের রেফারি ছিল লক্ষণ মান্ডি নামে আদিবাসী সমাজ থেকে আসা এক রেফারি।খড়্গপুর সাব ডিভিশন রেফারি এসোসিয়েশন এর সম্মানীয় সদস্য হওয়ার পাশাপাশি পেশায় স্কুল শিক্ষক। রেফারি সিদ্ধান্ত মন মত না হওয়ায় খেলার মাঠে ঢুকে প্রকাশ্যে রেফারিকে মারধর করে আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম দাপুটে তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত রাজা খান।

রেফারিকে সজোরে লাথি মারার ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় সমাজ মাধ্যমে। এমনকি গন্ডগোল থামাতে আসা দর্শকদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর শনিবার সকালে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রেফারী অ্যাসোসিয়েশন। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে এই গোটা ঘটনায় শাসকদলকে নিশানা করেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শাসকদলের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কারণেই কি খেলার মাঠেও দাদাগিরি করতে ছাড়লো না রাজা খান? এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। অন্যদিকে সকাল থেকেই গোটা অভিযোগের বিষয় নিয়ে জানার জন্য আমরা গিয়েছিলাম রাজা খানের বাড়িতে। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। এমনকি ফোনেও বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করি আমরা, মেলেনি কোন উত্তর।

শনিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানা থেকে রাজা খানকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।  এদিকে মেদিনীপুর বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, মাঠে রেফারি সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শুক্রবার রাতে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজা খানের তৃণমূল দলের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।

Latest