পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : বহু গুণীজন ও সাহিত্যপ্রেমীদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হলো গল্পের বই'রেড কার্পেট'। ঘরোয়াভাবে মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি হলে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হলো লেখিকা শিক্ষিকা অনামিকা তেওয়ারীর প্রথম গল্প সংকলন "রেড কার্পেট "। ২১টি ছোট গল্প নিয়ে এই বইটি প্রকাশ করলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক জয়জিৎ ঘোষ, সঙ্গীতশিল্পী জয়ন্ত সাহা, কবি নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়,কবি ও চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ সাঁতরা,কবি অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়,কবি আনন্দরূপ নায়েক,সমাজকর্মী রমাপ্রসাদ তেওয়ারি, অধ্যাপক ড.দীপাঞ্জয় মুখার্জি,গল্পকার বিনোদ মন্ডল, ছড়াকার বিদ্যুৎ পাল,কবি তনুশ্রী ভট্টাচার্য,কবি রাজেশ্বরী ষড়ঙ্গী, কবি ও সম্পাদক বরুণ বিশ্বাস, সংগীত শিল্পী রথীন দাস, বাচিক শিল্পী পাঞ্চালি চক্রবর্তী, সংস্কৃতিপ্রেমী লক্ষণ ওঝা, দিলীপ মুখার্জী, শিশুশিল্পী অদিত্রী মুখার্জী,কবি অমিত পন্ডিত সহ বহু গুণী মানুষ। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান লেখিকা অনামিকা তেওয়ারি।বই প্রকাশ করতে গিয়ে এই ধরনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.সুশান্ত চক্রবর্তী।বই নিয়ে নিজের কিছু কথা বলেন বইটির ভূমিকা লেখক সাহিত্যিক নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত গুণীজনেরা ছোট গল্প সংকলন 'রেড কার্পেট' প্রকাশের ঘটনাটিকে তৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। অনামিকা তেওয়ারীর গল্পের বই রেড কার্পেট ২১টি ছোট গল্পের সংকলন। নানা মেজাজের গল্প সঙ্কলিত হয়েছে এই বইয়ে। মধ্যবিত্তের নানা টানাপোড়েনের কাহিনী যথেষ্ট মুন্সীয়ানার সঙ্গে গেঁথেছেন অনামিকা। আছে ভূতের গল্পও। অনামিকার বৈশিষ্ট্য শুরু থেকেই কাহিনীর ভেতর ঢুকে পড়েন পাঠক। অহেতুক গৌরচন্দ্রিকার অবকাশ রাখেননি তিনি। সহজেই পাঠকের মনে আগ্রহ তৈরি করে টেনে নেন গল্পের গভীরে। গল্পের বিষয়ে কাহিনীর চরিত্রগুলির মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন হেঁটে চলে বেড়ানো মানুষের ভিতরের যে জগৎ , যে দ্বিধা, দন্দ্ব ও টানাপোড়েন লুকিয়ে প্রতিদিনকার মানুষ নিরন্তর যে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয় সেই অন্তর্নিহিত জীবনটাকে মেলে ধরেছেন গল্পের পরতে পরতে। মানুষের আবেগ, অসহিষ্ণুতা সহ চিরায়ত আশা - নিরাশার যে দোটানা তা গেঁথে গেছেন গল্পের পর গল্পে ।বইটি প্রকাশিত হয়েছে 'কবিতিকা' থেকে।বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন কমলেশ নন্দ। এদিনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান লেখিকা অনামিকা তেওয়ারি।