Skip to content

বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের এক সুপ্রাচীন লোক উৎসব!

বাঁকুড়া নিজস্ব সংবাদদাতা : ফাল্গুন সংক্রান্তির দিন সকালবেলায় ঘন্টাকর্ণ বা ঘেঁটু ঠাকুরের বার্ষিক পূজার দিন।প্রতি বছর ফাল্গুনের সংক্রান্তির সকালে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কোনো মন্দিরে ঘেঁটু ঠাকুরের পূজা হয় না। পূজা হয় জলাশয়ের পাশে রাস্তার মোড়ে। এই পূজার জন্য আলাদা করে পুরোহিতের দরকার হয় না, গৃহস্থ পুরুষ-মহিলারাই করতে পারে। পূজার জন্যে লাগে মুড়িভাজার পুরোনো ঝুলকালিমাখা একটি মাটির খোলা (‘কেলে হাড়ি’), তেল হলুদে চোবানো ছোট বস্ত্রখণ্ড, তিনটি কড়ি, ছোট ছোট তিনটি গোবর দিয়ে পাকানো পিণ্ড, ঘেঁটু ফুল, সিঁদুর, ধান ও দূর্বা ঘাস। মাটির খোলাটা নিকোনো জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়। তার উপরে তিনটি গোবরের পিণ্ড লাগিয়ে সেগুলি কড়ি, সিঁদুর ঘেঁটু ফুল দিয়ে সাজানো হয়। খোলার উপরে বস্ত্রখণ্ডটি বিছিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির সামনে উঠোনে বা একটু দূরে রাস্তার তিনমাথা, চারমাথার ধারে জনতার মাঝে এটি সম্পন্ন হয়।সন্ধ্যেবেলা ছোট ছোট ছেলেরা রঙীন কাগজ ও কঞ্চি দিয়ে ছোট্ট ডুলি বানিয়ে তাতে ঘেঁটু ফুল ও প্রদীপ দিয়ে ঘেঁটু ঠাকুরকে সাজিয়ে তা কাঁধে করে বাড়ি বাড়ি ঘোরে এবং ঘেঁটুর গান গেয়ে চাল পয়সা ভিক্ষা করে।

Latest